টানা বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা পর্যাপ্ত না থাকায় টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌর শহরের বসতবাড়িতে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে। হাঁটু সমান পানির নিচে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠগুলোতে থৈ-থৈ করছে ময়লাযুক্ত পানি। এতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ধনবাড়ী পৌর এলাকার কিছু এলাকা নিমজ্জিত। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পৌর এলাকার নিম্নাংশে বেশকিছু বাসাবাড়িতে প্রবেশ করেছে বৃষ্টির পানি। তলিয়ে গেছে আমবাগানের ধনবাড়ী জামালপুর নান্দিনা রোড অধিকাংশ ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে।এ দুর্ভোগ আজকের নয়। ইতিপূর্বে মেয়রকে জলাবদ্ধতার বিষয়ে অবগতি করা হলেও প্রতিশ্রুতি মিলেছে,সমাধান হয়নি। দীর্ঘদিনেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় বছরের পর বছর ধরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীদের ।
পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ধনবাড়ী পৌরসভায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে করে পৌর এলাকার অধিকাংশ বাসাবাড়িতে প্রবেশ করেছে বৃষ্টির পানি। ৪ অক্টোবর থেকে রাত থেকে টানা বর্ষণের ফলে ভোগান্তি বেড়েছে বহুগুণে। হঠাৎ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় মালামাল ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন পৌরবাসী ।
অথচ পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না।এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ধনবাড়ী শহরের আমবাগান, চালাষ ছএপুর রোড , সহ বিভিন্ন এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।পৌরসভার মোট ৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরসভার ৮ ও ৪ নং ওয়ার্ড বাসি ।
আমবাগান এলাকার শিক্ষার্থী শান্ত বলেন, অল্প বৃষ্টিতে পাকা সড়ক তলিয়ে আমাদের বাসায় পানি প্রবেশ করেছে। এতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। রাস্তা দিয়েও হাটু পানি। স্কুল-কলেজে যাতায়াত বেশ কষ্ট সাধ্য হয়ে গেছে।
উত্তর মিয়া পাড়ার বাসিন্দা তারিকুজ্জামান তপন বলেন, পৌর এলাকায় পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পৌরবাসীদের দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। আমার বসতবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়েছে। বাসা থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দ দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত কয়েক বছরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে । কিন্তু তেমন ড্রেনের উন্নয়নমূলক কাজ হইনি । ফলে আমাদের এ ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ী মিল্টন বলেন, পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে পানি নিষ্কাশনের পরিকল্পিত ব্যবস্থা না থাকা ও নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বছরের পর বছর আবেদন করা হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যাও কাজ শুরু করেছে ধীর গতির কারণে অভিযোগ হয়ে আছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা।
দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে বলে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে তারা আহ্বান জানান।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :