রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে সুমি আক্তার মিতা (৩০) নামের এক যৌনকর্মীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সে যৌনপল্লীর জাহাঙ্গীর ও দবিরের বাড়ীর ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরের গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ তার ভাড়া ঘরের কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত মিতা ঢাকার দোহার উপজেলায় চৈতা বারাত নারিশা গ্রামের কাদের ফকিরের মেয়ে। সে বিগত ৭-৮ বছর ধরে এ যৌনপল্লীতে বসবাস করছেন।
পুলিশ ও যৌনপল্লী সূত্রে জানা যায়, মিতা রবিবার (৬ অক্টোবর) রাত ১১ টার দিকে তার পাশে সাঈদের বাড়ির নৃত্যের রুমে নাচানাচি করে এবং মদ খায়। পরে সেখান থেকে একজন খদ্দের নিয়ে নিজের কক্ষে প্রবেশ করে।
সোমবার সকালে অনেক বেলা হয়ে গেলেও তাকে দেখতে না পেয়ে বাড়ির অন্যান্য মেয়েরা মিতার কক্ষে যায়। সেখানে তারা মিতার কক্ষের দরজা খোলা দেখতে পান এবং মিতাকে ভেতরে জানালার গ্রিলের সাথে রশি দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বিছানায় মৃত দেখতে পান। এ সময় তার গলায় একটি ওড়না পেঁচানো ছিল। এ ঘটনায় পুরো যৌনপল্লীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
পরে বেলা ১১ টার দিকে মিতার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মুকিত সরকার এবং গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সেখানে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে বেলা দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, নিহত মিতার ৪ বছর বয়সী আফরিন নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কেন কি কারণে এবং কে বা কারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায় নি। আমরা হত্যার রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :