শেরপুরে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে বন্যাকবলিতদের মাঝে ইদ্রিস গ্রুপ অব কোম্পানির পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।৭ ই অক্টোবর সোমবার দুপুরে জেলার ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, নকলা,ও শেরপুর সদরের বিভিন্ন এলাকায় এইসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এদিন জেলার বন্যার্ত ২ হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন,। ইদ্রিস গ্রুপ অব কোম্পানির লিমিটেডের সেলস প্রধান ল্যুফর রহমান ঠান্ডা, মইনুল ইসলাম,গিয়াস উদ্দিন রাসেল, সাঈদ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণ সামগ্রী মধ্যে ছিল চাল,ডাল,তেল,লবন,আলু,খাবার স্যালাইন,মোমবাতি, মিনারেল পানির বোতল ইত্যাদি।
ইদ্রিস গ্রুপের কর্মকতা ল্যুফর রহমান ঠান্ডা ও মইনুল ইসলাম জানান,ইদ্রিস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সুযোগ্য চেয়ারম্যান মিসেস আলহাজ্ব রেহানা ইদ্রিস মহোদয় ও মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট শিল্পপতি, দনবীর জনাব গুলজার মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া জিহান স্যারের নির্দেশনায় বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাড়িয়েছে ইদ্রিস গ্রুপ।
উল্লেখ্য যে, শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে রাস্তার ধারে খেলতে গিয়ে বন্যার পানিতে ডুবে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে শেরপুরে বন্যার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে। তবে বৃষ্টি না হওয়ার শেরপুরে বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সরেজমিনে শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, ও শ্রীবরদী উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, ঢলের পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি। পাঁচটি উপজেলার প্রায় দেড় লাখ মানুষ এখনও পানিবন্দি। বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কংস, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরী এবং পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি এখনও বাড়ছে। শেরপুরের ভোগাই নদ ও নাকুয়াগাঁও পয়েন্টে এবং জামালপুরের জিঞ্জিরাম নদী বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :