হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে আগামীকাল বুধবার। মহাষ্টমী পালিত হবে আগামী ১১ অক্টোবর শুক্রবার। ১২ অক্টোবর শনিবার মহানবমী। রোববার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে শারদীয়া দুর্গাপুজা।
উপজেলার পৌর এলাকার মনসাতলা পূজামন্ডপের পৌরহিত প্রেমানন্দ চক্রবর্তী বলেন, ভয়, দুঃখ, শোক, জ্বালা, যন্ত্রণা এসব থেকে দূর্গা ভক্তকে রক্ষা করেন। দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায় তিনিই দুর্গা। যুদ্ধে জয়লাভ করে দেবী সীতাকে উদ্ধার করেন ও রাবণকে হত্যা করতে সক্ষম হন রাম চন্দ্র। সেই থেকে পৃথিবীতে প্রতি বছর শরৎকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দূর্গোৎসব পালন করে আসছেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ভজন মিত্র জানান, এবছর শংকাহীন ভাবে উপজেলায় ৪৮ টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে সকল পূজামন্ডপে বর্ণাঢ্য আয়োজনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাক-ঢোল কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মন্ডপ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সহযোগীতা রয়েছে। তাছাড়া আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা রক্ষায় টহলরত আছে।
কালীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলার প্রতিটি পূজামন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ সদস্যরা সদাপ্রস্তুত রয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা যাতে সুন্দর ভাবে ধর্মীয় কাজ করতে পারে সে বিবেচনায় পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :