৮ অক্টোবর শহীদ মুকুল দিবস। এই দিনটিকে ঘিরে প্রতিবছর মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শ্রীপুর মুকুল স্মৃতি সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে শহীদ মুকুলের ৫৩তম শহীদ দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস মুন্সীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জান আছাদ। স্মরণ সভায় এসময় বক্তব্য রাখেন শহীদ মুকুল স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ জাহিদ সাজ্জাদ রিপন, সাধারণ সম্পাদক সহকারি অধ্যাপক নাসিরুল ইসলাম শাহীন ও বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা। স্মরণসভা শেষে মাওলানা আমিরুল ইসলামের পরিচালনায় দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে শহীদ মুকুল, তাঁর পরিবার পরিজন, শ্রীপুর বাহিনীর অধিনায়ক প্রয়াত আলহাজ্জ্ব আকবর হোসেন মিয়া ও সহ-অধিনায়ক মোল্লা নবুয়ত আলীর জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুরে রাজাকার ও পাকহানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শ্রীপুর বাহিনীর সাহসী যোদ্ধা জহুরুল আলম মুকুল ঘটনাস্থলেই শহীদ হন। ১৯৭১ সালের ৫ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধারা ‘শ্রীপুর বাহিনী’র অধিনায়ক আকবর হোসেন মিয়ার নির্দেশে বাহিনীর ৬০ থেকে ৬৫ জন চৌকস সদস্য নিয়ে মাগুরা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে বিনোদপুর হাইস্কুলে রাজাকার ও পাকহানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণের জন্য পায়ে হেটে রওনা দেন। ৭ অক্টোবর দিবাগত রাত ৩ টার দিকে মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার ক্যাম্পে আক্রমণ শুরু করেন। দু’পক্ষের মুহুর্মুহু গোলাগুলির এক পর্যায়ে মুকুল ক্রলিং করে সামনের দিকে অগ্রসর হতেই ২০ ফুটের মত অগ্রসর হলে শত্রুপক্ষের গুলিতে ঘটনাস্থলেই তিনি শহীদ হন। তবে, এ সময় পাকবাহিনীর গুলি ও আক্রমণের মুখে শ্রীপুর বাহিনীর সদস্যরা সহযোদ্ধা শহীদ মুকুলের মরদেহ পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করেও নিয়ে আসতে পারেনি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :