মানববন্ধন হতে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভাঙন কবলিত স্থানে জিওব্যাগ না ফেলা হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেয়া হয়।মানববন্ধনে বলা হয় গত এক সপ্তাহে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এবং দেবগ্রামের মুন্সি বাজার কাউয়ালজানি এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙনে অন্তত ২০ টি পরিবারের ভিটেমাটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ভাঙন আতঙ্কে নিরাপদ স্থানে সরে গেছে অনেকগুলো পরিবার। কিন্তু বহু আকুতির পর অদ্যাবধি ভাঙন প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ হতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এ-সময় বক্তারা বলেন, বিগত ৮/১০ বছরে ইউনিয়ন দুটির ২৩ টি মৌজা নদীগর্ভে বিরীন হয়ে গেছে। সর্বহারা হয়ে গেছেন হাজার হাজার পরিবার। অথচ বিগত আওয়ামী লীগ সরকার এ অঞ্চলের ভাঙন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি। প্রতিটি নির্বাচনে শুধুমাত্র ধোকা দিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের এমপি এবং অন্যান্য নেতারা। ফলে গোয়ালন্দের মানচিত্র হতে দৌলতদিয়া এবং দেবগ্রাম ইউনিয়ন মুছে যেতে চলেছে।
অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দেবগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল, গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ আহম্মেদ , দৌলতদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহন মন্ডল, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. আবুল হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সানোয়ার আহম্মেদ, উপজেলা ছাত্র দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মেদ আলী শিপন, পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোক্তার মাহমুদ, স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, সমাজ সেবক জামাল মুন্সি, জাহিদ সরদার প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র`র নিকট তাদের দাবি তুলে ধরেন। এ-সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের দাবিগুলোর পেক্ষিতে জানান, দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে আগামীকাল (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে ১০ হাজার বস্তুা জিওব্যাগ ফেলা হবে। আর দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সি বাজার এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসক মহদয়কে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। আশা করছি নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার হবে। তার পরও যদি পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে আপনাদের সাথে আলোচনা করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুইএক দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :