AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

থামছেই না পদ্মার ভাঙ্গন, ঘর-বাড়ি-মসজিদসহ গিলে খাচ্ছে অসংখ্য স্থাপনা


থামছেই না পদ্মার ভাঙ্গন, ঘর-বাড়ি-মসজিদসহ গিলে খাচ্ছে অসংখ্য স্থাপনা

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের আজিমনগর ইউনিয়নের সোয়া খারা ও হাতিঘাটা এবং লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের গঙ্গাধরদি ও সেলিমপুর এলাকায় চলতি বর্ষা মৌসুমের সাড়ে তিন মাসে প্রায় চার শতাধিক বসতভিটা ও কয়েক হাজার বিঘা কৃষি জমি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ১৩ টি মৌজার ১২ টি মৌজা পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। অবশিষ্ট রয়েছে গৌড়বড়দিয়া মৌজা। সে মৌজারও অবশিষ্ট অংশের বাসিন্দারা ভাঙন আতংকে সর্বস্ব হারানোর ভয়ে দিন পার করছেন।

শনিবার (১২ অক্টোবর) সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আজিমনগর ইউনিয়নের ৬,  ৮, ও ৯ নং ওয়ার্ড  এলাকা প্রায় দুই বছর আগে সম্পূর্ণ রূপে বিলীন হয়ে যায়। অনবদ্য ভাঙনের ফলে ৭নং ওয়ার্ডেরও প্রায় ৬০ ভাগ এলাকা নদী গর্ভে চলে যায়।  চলতি বর্ষা মৌসুমেও এ ওয়ার্ডের সোয়া খারা ও হাতিঘাটা এলাকায় নতুন ভাঙন দেখা দিলে প্রায় শতাধিক বসত ভিটাসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ২০০৪ সালে সোয়া খারা এলাকায় অসহায় ও দুঃস্থ ৫০টি পরিবারের জন্য সরকারি খাস জমির ওপর মাটি ভরাট করে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ করা হয়েছিল। গত দুই বছরে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে গুচ্ছ গ্রামটির প্রায় ২৫টি বসত ভিটা পদ্মায় বিলীন হয়ে গেলেও এবার বর্ষা মৌসুমে ফের ভাঙন দেখা দিলে গুচ্ছ গ্রামটির আরও ২০টি বসত ভিটা পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। বাকি ৫টি পরিবার ভাঙন আতংকে ঘরবাড়ি সরিয়ে খোলা মাঠে আশ্রয় নেয়। দুই দিন আগে গুচ্ছ গ্রামটির একটি মসজিদ ও একটি ক্লাব ঘরের একাংশ পদ্মায় ভেঙে গেলে দ্রুত ঘরগুলো ভেঙে সরিয়ে নেয়া হয়।

এছাড়াও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ২ নং ও ৩ নং ওয়ার্ডের পদ্মা নদী তীরবর্তী গ্রাম মালুচি ও কুশিয়ারচরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নতুন করে নদী ভাঙনের আতংকে রয়েছে এই এলাকার হাজারো মানুষ। ভাঙন ঝুঁকিতে  কুশিয়ারচর গায়েনবাড়ি মসজিদ, হোসেন শাহের মাজার ও মালুচি মসজিদসহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘর রয়েছে।

আজিমনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মুন্নাফ আলী, ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাছেল মৃধা ও লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেন জানান, গত কয়েকদিন আগে ভয়াবহ নদী ভাঙন দেখা দিলে গুচ্ছ গ্রামের বসতভিটা, একটি ক্লাবঘর ও মসজিদ এবং হাতিঘাটা এলাকার বসত বাড়িসহ চলতি বর্ষায় প্রায় ৮০টি বাড়ি বিলীন হয় যায়। ধারাবাহিক নদী ভাঙনের কবলে পড়ে কয়েক বছরে আমার ৮ নং ওয়ার্ড সম্পূর্ণরূপে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এখনও ভাঙন অব্যাহত আছে। দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে এ এলাকা সম্পূর্ণভাবে পদ্মায় বিলীন হবে।

কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী বনি ইসলাম রূপক জানান, কয়েক বছরে পদ্মার ভাঙনে ১৩টি মৌজার ১২টি মৌজাই ইতোমধ্যে পদ্মায় ভেঙে গেছে। এখন শুধু গৌড়বোরদিয়া মৌজা অবশিষ্ট আছে। গত দুই-তিন বছরে কোর্টকান্দি, মুহম্মদপুর ও বৌদ্ধকান্দিতে পদ্মার ভাঙনে শত শত বিঘা জমি ও বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। পানি বৃদ্ধির সাথে পদ্মার পানির স্রোতে কয়েকদিন আগে বিল্লাল মেম্বাবের বাড়ির সামনে জিও ব্যাগ ধ্বসে গেছে। এখনো ৫০০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ পড়েনি। বিষয়টি ফোনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও কে জানিয়েছি।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানান, আমরা ইতোমধ্যে লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের সেলিমপুর এলাকায় আপদকালীন জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়াও কুশিয়ারচর ও মালুচি এলাকায়ও দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর সমস্ত ভাঙ্গনটা একটা ফিজিবিলিটি স্টাডির আওতায় এনে একটা স্থায়ী প্রকল্পের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

একুশে সংবাদ/ এস কে

Link copied!