AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রাঙ্গাবালীতে জনভোগান্তির নাম রসুলবাড়িয়ার সেতু, ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পার


রাঙ্গাবালীতে জনভোগান্তির নাম রসুলবাড়িয়ার সেতু, ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পার

রাঙ্গাবালীতে সেতু নির্মাণকাজে ধীরগতি, ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার খালের ওপর ধীরগতিতে চলছে লোহার সেতুর নির্মাণকাজ। মানুষের পারাপারের ভোগান্তিও দিন দিন বাড়ছে। বিকল্প যাতায়াতের পথ না থাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্মাণাধীন সেতুর লোহার কাঠামোর ওপরই বাঁশ বেঁধে বানানো হয়েছে সাঁকো। দুর্ঘটনার ঝুঁকি জেনেও এই সাঁকো দিয়েই পারাপার হন নারী-পুরুষ ও শিশুরা। দুর্ভোগের এই চিত্র পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাদারবুনিয়া ও রসুলবাড়িয়া গ্রামের দুইপারের মানুষের। 

সরেজমিন দেখা গেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়নি, চলছে ধীরগতিতে। এক বছরের মধ্যে সেতুটির কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দুই বছরেও তা হয়নি। দীর্ঘদিন খালে শুধু লোহার খুঁটি পুঁতে কাজ ফেলে রাখা হয়েছিল। মাস ছয়েক আগে বসানো হয়েছে লোহার অ্যাংগেল। এখনো আরও অ্যাংগেল বসানো, রড বাঁধাই করা, কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া এবং সংযোগ সড়কের কাজ বাকি পড়ে আছে। 

এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দুই বছর আগে লোহার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। কিন্তু শুরু থেকেই কাজে গতি নেই। মাসের পর মাস সেতুর অর্ধেক কাজ করে বাকি কাজ পড়ে আছে। তাই পারাপারের জন্য দুই সপ্তাহ আগে এই বাঁশের সাঁকো বানিয়েছেন গ্রামবাসী। 

গ্রামবাসী জানান, গ্রাম দুটির মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে মাদারবুনিয়া নামের একটি খাল। এই খাল বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে দুই গ্রামকে। খালের পশ্চিম পাড়ের রসুলবাড়িয়া গ্রামের সঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। পূর্বপাড়ের মাদারবুনিয়া গ্রামটি খালের কারণে সড়ক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।     

উপজেলার রসুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র আবির হোসেন বলে- বুক ধরফর করে কাঁপে এই সাঁকো পার হইতে। ভয়ে থাকি, কখন যে পা পিছলে পড়ে যাই। কোনোরকম পড়ে লোহার অ্যাংগেলে বাজলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। আমরা চাই, সেতুর কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা হোক।  

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, যখন রশি টেনে নৌকায় শিক্ষার্থীরা পারাপার হতো তখনো কষ্ট ছিল। এখন বাঁশের সাঁকোতে পারাপার হতে সেই কষ্ট আরও বেড়েছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে তাদের সাঁকো পারাপার হতে হয়। সেতু নির্মাণের কাজ ধীরগতির কারণে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের মাত্রা এখন বেড়েছে। মাদারবুনিয়া অংশের কিছু শিশু শিক্ষার্থী সাঁকো পারাপারে ঝুঁকি হওয়ায় ক্লাসে ঠিকমতো আসছেও না। তাই দ্রুত সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি আমাদের।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জানায়, দুই বছর আগে সদর ইউনিয়নের মাদারবুনিয়া ও রসুলবাড়িয়া গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা মাদারবুনিয়া খালের ওপর লোহার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। দুই কোটি ১৩ লাখ টাকা নির্মাণ ব্যয়ে কাজটি পায় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইএফটিই-ইটিসিএল প্রাইভেট লিমিটেড। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ ফুট প্রস্থের এই সেতুর কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ১ এপ্রিল। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ কাজ শেষ হওয়ার কথা। 

এলজিইডির তথ্যানুযায়ী, ঠিকাদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দফায় কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ মেয়াদ অনুযায়ী চলতি বছরের ৩০ জুন কাজ শেষ করার কথা। পরে আরও চার মাস মেয়াদ বাড়ানো হলেও কাজ শেষ হয়নি।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, সেতুটির লোহার অবকাঠামোর কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত সেতু নির্মাণকাজ শেষ হবে।  

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!