পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মধ্য মদনপুরা গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে (১১) ধর্ষনের ঘটনায় ওই ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে (৪০) দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৪ অক্টাবর) বাউফল উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোশারেফ হোসেন খান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ অব্যাহতি পত্র সভাপতির ফেসবুক আইডি থেকে প্রচার করা হয়েছে। অব্যাহতি পত্রে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্গলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মদনপুরা ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ও সাবেক সেনা সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি মদনপুরা ইউনিয়নের মধ্য মদনপুরা গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এর আগেও বিভিন্ন সময় তিনি ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এঘটনায় ১২ অক্টোবর অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় । এদিকে এ ধর্ষণের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে একটি মহল তৎপরতা চালাচ্ছ বলে অভিযোগ রয়েছে। মহলটি পুলিশের সাথে যোগসাজশ করে ধর্ষণের ঘটনাটি ধর্ষণের চেষ্টা বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।
ধর্ষিত ছাত্রীর ভগ্নিপতি অভিযোগ করে বলেন, ধর্ষিতা শিশু ও তার বাবা-মা থানায় উপস্থিত হয়ে ওসিকে বিস্তারিত জানিয়েছি। তারপরেও রহস্যজনক কারণে এজাহারে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি লিখিত এজাহারটি তাদেরকে পড়ে শুনানো হয়নি।
এদিকে আজ সোমবার (১৪অক্টোবর) পত্রিকায় "ধর্ষিত শিশুর মেডিকেল পরীক্ষা করাতে পুলিশের রহস্যময় আচরণ" শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের পর একই দিন সকালে বাউফল থানার পুলিশ নির্যাতিত ছাত্রীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :