রাজশাহীর তানোরে পূর্ব শক্রতার জের ধরে রাতে বাড়িতে ঢুকে শিরিন আক্তার নামের এক গৃহবধূ ও তার স্বামী আহম্মেদ সায়েমকে কে এলোপাথাড়ি মারপিট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১০ অক্টোবর রাত্রি সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার সাদিপুর গ্রামে ওই গৃহবধূর বাড়িতে ঘটে মারপিটের ঘটনা টি।
এঘটনায় গৃহবধূ শিরিন আক্তার ও তার স্বামী আহম্মেদ সায়েম বাদি হয়ে মুন্ডুমালা বাজারের প্রভাবশালী আ"লীগ নেতা আহম্মেদ সিজার তার ভাই জামিলসহ তাদের স্ত্রীদের নামে গত ১১ অক্টোবর থানায় পৃথক পৃথকভাবে দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এঘটনার পর থেকে স্বামী স্ত্রী চরম নিরাপত্তা হীনতায় পড়েছেন। সেই সাথে উভয়ের এক প্রকার উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্বামী স্ত্রী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, পূর্বের শত্রুতার জের ধরে গত ইং ১০/১০/২০২৪ তারিখ রাত্রী অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় উপরোক্ত বিবাদীগণ বে-আইনি জনতায় দলবদ্ধ হইয়া বাঁশের লাঠি, ধারালো হাসুয়া, লোহার রড ইত্যাদি দেশীও অস্ত্র-সস্ত্র লইয়া আমাদের বাড়িতে অনাধিকারে প্রবেশ করে। অতঃপর উক্ত বিবাদীগণ আমাদেরকে উদ্দেশ্য করিয়া অন্যায় ভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। বিবাদীগণের সহিত কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমাদের উপরে রাঙ্গান্নিত ও ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথাড়ী মারপিট করিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। উক্ত বিবাদীগণ হুমকী দিয়া বলে যে, আমাদের সাথে বেশি বাড়াবাড়ি করলে যেকোন বড় ধরনের ক্ষতি করা হবে।
এছাড়াও বিবাদীগণ তোদের আয়ু একবারে শেষ পর্যায়ে। সালা তোকে যেখানে দেখিতে পাইবো সেখানেই প্রাণে মারিয়া ফেলিবো। প্রকাশ থাকে যে, উক্ত বিবাদীগণ প্রতিনিয়ত ধারালো হাসুয়া, লোহার রড, কোড়াল ইত্যাদি দেশীয় সস্ত্র-সস্ত্র লইয়া প্রাণনাশের হুমকী প্রদর্শন করে আসছে। বিবাদীগণ যেকোন সময় আমার কিংবা আমার পারিবারের লোকজনদের বড় ধরনের ক্ষতি করিয়া ফেলিতে পারে।
শিরিন আক্তার ও তার স্বামী জানান, তারা মুন্ডুমালা বাজার এলাকার অত্যান্ত প্রভাবশালী। বিগত আ"লীগ সরকারের সময় তাদের ভয়ে কেউ কোন কথা বলতে পারত না। তাদের কথায় মুন্ডুমালা বাজারে শেষ কথা। তারা দলের পরিচয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল এলাকায়। তবে বিবাদী আহম্মেদ সিজার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,ছোটখাটো সমস্যা হয়েছিল, সেনাবাহিনী বিষয়টি নিয়ে আপস মিমাংসা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
বিষয়টি জানতে মুন্ডুমালা পুলিশ ফাঁড়ির ০১৩২০১২২৬২২ নম্বরে ফোন দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মিজানুর রহমান জানান, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :