জামালপুরের বকশীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কমিটির সদস্যদের। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার ভিড়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে বের করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা এতদিন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা নিয়েছেন, সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন, যাদের ছেলেমেয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এতদিন সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন, তাদের অনেকেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, অনেক স্থানে নতুন তালিকাতেও আবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ঢুকছে টাকার বিনিময়ে। এ অবস্থায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জামালপুর জেলাধীন বকশীগঞ্জ উপজেলার ১২ (বার) জন ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা নয় অথচ অনৈতিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের নাম গেজেটে অন্তভূক্ত করণ, সনদ গ্রহণ সহ ভাতা ভোগ করে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় সাধন করায় তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে আপীল আবেদন দায়ের করায় কয়েক দফায় উভয় পক্ষের শুনানী গ্রহন স্বাপেক্ষে ০৮ (আট) জন অমুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রমাণিত হওয়ায় গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপনপত্র জারি হয়েছে,
বাকি চারজন অমুক্তিযোদ্বাদের মধ্যে রয়েছেন বেতমারী গ্রামের আবু সাইদ, মেরুরচর গ্রামের মিজানুর রহমান, মদনেরচর গ্রামের আব্দুল বাতেন তাদের শুনানী চলমান রয়েছে।
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বলেন গেজেট বাতিল হওয়া সত্যেও কেমনে অমুক্তিযোদ্বা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শামীম মিয়া পুলিশ কন্সটেবল হিসাবে ও তার ভাই মোরাদুজ্জামান (সুমন) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত রয়েছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :