AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

লালমনিরহাটের ৬ প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি


Ekushey Sangbad
মোঃ জামাল বাদশা, লালমনিরহাট
০৭:৪৮ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪
লালমনিরহাটের ৬ প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি

এইচএসসি পরীক্ষায় লালমনিরহাটে ৬টি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। সবগুলোই টানা দুই বারের সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের আসনে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, আদিতমারী উপজেলার গন্ধমরুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও  কলেজ, নামুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কালীগঞ্জ উপজেলার সোনারহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, শিয়াল খোওয়া  কলেজ, দুহুলী এস.সি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং কাকিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।

মঙ্গলবার(১৫ অক্টোবর) প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জানা গেছে, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধিনে অংশ নেয়া এইচএসসি পরীক্ষায় লালমনিরহাটের দুই উপজেলার ৬টি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। সব প্রতিষ্ঠানই উচ্চ মাধ্যমিকের সাথে সংযুক্ত কলেজ। যার মধ্যে গন্ধমরুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে চলতি বছর ৮জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউ পাস করতে পারেনি। নামুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েও ফেল করেছে।

শিয়ালখোয়া কলেজ থেকে ৩ জন অংশ নিয়ে কেউ পাস করেনি। সোনারহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৩জনের সকলেই ফেল করেছে। দুহুলী এসসি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং কাকিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একমাত্র পরীক্ষার্থীরাও ফেল করেছে। নামুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজটি প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ এক যুগেও কেউ পাস করতে পারেনি। তবে লালমনিরহাটের কেউ পাস না করা ৬টি প্রতিষ্ঠানই লালমনিরহাট ২(আদিতমারী কালীগঞ্জ) আসনে অবস্থিত। যে আসনে টানা দুই বার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। মন্ত্রীর ক্ষমতায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও শিক্ষার মান ছিল নিম্নমুখি। প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী শিক্ষক ছিলেন মন্ত্রীর দলীয় কাছের মানুষ। বিধায় ক্লাশ না করেও নিয়মিত বেতন ভাতা ভোগ করেছেন। এসব শিক্ষক প্রতিষ্ঠানে না গেলেও মন্ত্রী বাড়িতে নিয়মিত যাতায়ত করতেন বলে অভিভাবকদের অভিযোগ।

মোশারফ হোসেন নামে একজন অভিভাবক বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি তাদের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নুরুজ্জামান মন্ত্রীর চামচা ছিলেন। কলেজ না গেলেও মন্ত্রীর বাড়ি নিয়মিত যেতেন তারা। যদি কেউ পাস না করে সে প্রতিষ্ঠান রেখে লাভ কি। ভর্তির সময় শিক্ষার্থী অভিভাবকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভর্তি করেন। পরে ক্লাশ নেয়ার কোন খবর নেই। পাঠদান না থাকলে শিক্ষার্থীরা পাস করবে কেমনে। এমন নাম মাত্র প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

দুই উপজেলার দায়িত্বে থাকা আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। তাদের এমন ফলাফলের কারন অনুসন্ধান করে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাতে আগামী দিনে এমন হতাশাজনক ফলাফল দেখতে না হয়।

একুশে সংবাদ/ এস কে


 

Link copied!