নারায়ণগঞ্জ জেলার ফুতল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আজমেরী ওসমানের ক্যাডার আব্দুল হামিদ ওরফে পাগলা হামিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, হামিদ আমাদের টার্গেটে ছিল। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সশস্ত্র হামলার অভিযোগে মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আব্দুল হামিদ ওরফে পাগলা হামিদ ত্বকী হত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল। সে আজমেরী ওসমানের ক্যাডার বাহিনীর অন্যতম সদস্য। শহরে আজমেরী ওসমানের মহড়ায় সবসময় তাকে গাড়িতে দেখা যেত।
জানা গেছে, আজমেরী জাতীয় পার্টির প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের ছেলে এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ভাতিজা৷ আজমেরী ওসমানের প্রভাবে ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব ছিল হামিদের। বিসিক শিল্পাঞ্চলে চাঁদাবাজি ও ঝুট সন্ত্রাসের বড় নিয়ন্ত্রণও ছিল তার হাতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘পাগলা হামিদ’ এক সময় শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদলের গাড়িচালক ছিলেন। পরে আজমেরী ওসমানের সাথে যোগাযোগ হয় তার। হত্যা, মাদক ব্যবসা, ভূমিদস্যুতাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আজমেরী ওসমান গা ঢাকা দিলেও অনেক সহযোগী নারায়ণগঞ্জে রয়ে যান। তাদের মধ্যে হামিদ একজন। তিনি স্থানীয় কয়েকজন বিএনপির নেতার সাথে যোগসাজসে এলাকায় টিকে যান। হামিদের গ্রেফতারের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হন তার সহযোগী আনিস।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :