জামায়াত নেতা খায়রুল হাসানের আধুনিক কালীগঞ্জ গড়ার অঙ্গিকার

আধুনিক কালীগঞ্জ গড়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগরের নায়েবে আমীর মো.খায়রুল হাসান। 

জামায়াত নেতা মো.খায়রুল হাসান এক সাক্ষাতকারে কালীগঞ্জ নিয়ে তার ভাবনা সম্পর্কে বলেন, গত ৫ আগষ্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আ’লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটে। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ একদলীয় দুঃশাসনের অবসান হয়। জন্ম নেয় নতুন সোনালী বাংলাদেশের। 

গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা, গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ) সংসদীয় আসন গঠিত। জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন মুখী একটি দল। কেন্দ্রীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

মানবাধিকার লংঘন,গণতন্ত্র হরণ,মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল এই ফ্যাসিস্ট সরকার। বিচার বিভাগে নগ্ন হস্তক্ষেপ,আর্থিক খাতে লুটপাট, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সামাজিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করে এদেশকে এক মৃত্যুপূরীতে পরিণত করেছিল ফ্যাসিস্ট আ’লীগ সরকার। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের ছাত্রজনতার আশা-আকাঙ্খাকে বুকে ধারন করে বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে নিরন্তর ছুটে চলছে। 

৫ আগষ্টের পরে এ আসনে জামায়াতের নেতাকর্মীরা দল গুছানোর কাজের অংশ হিসেবে  জনগণের দোরগোড়ায় পৌছাতে শুরু করেছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহিদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছে সাম্যের বার্তা পৌছে দিচ্ছেন।

বিগত আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মামলা হামলা মাথায় নিয়ে রাজপথে থেকে লড়াই করেছি। দুঃসময়ে জনগণের পাশে ছিলাম, বাকি সময়েও জনগণের পাশে থাকাব ইনশাল্লাহ। ছাত্র,যুবক,আলেম সমাজ,শিক্ষক,কৃষক,শ্রমিক,দিনমজুরসহ সকলের ভালবাসা এবং দোয়াই আমার চলার পথের পাথেয়। নিজের সামর্থ্যরে সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে এই জনপদের কল্যাণে কাজ করে যাব। বিশ্বাস করি সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য এবং সহাবস্থানের মাধ্যমে আগামীর এক সুন্দর আধুনিক কালীগঞ্জ গড়ে তুলব। কালীগঞ্জ-পুবাইল-বাড়িয়ার ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সমর্থন থাকলে আগামীতে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের কালীগঞ্জ গড়া সম্ভব। 

উল্লেখ যে, গাজীপুর-৫ আসনে জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মরহুম অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউসুফ আলী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্ধীতা করেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে আইন, বিচার,শাসন ও নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের সংষ্কারের প্রয়োজন। আশা করি বর্তমান সরকার দেশবাসীর সকল প্রত্যাশা পূরণে নিরপেক্ষ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।

একুশে সংবাদ/ এস কে