বাংলাদেশ পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) এর বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে টিনের ঘর থেকে বিলাসবহুল ভবনের মালিক বানিয়ে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার চরবয়ড়া গ্রাম ৯ নং ওয়ার্ড এলাকার আব্দুস ছত্তার খাঁনের পুত্র মাজিদুল হক খাঁন মাজেদ তিনি ২০১৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পদে মেধার ভিত্তিতে চাকুরীতে যোগদান করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান- গ্রামের অদম্য মেধাবী পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগ নিয়ে উচ্চশিক্ষা শেষ করে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন।
এসআই মাজিদুল হক খাঁন পুলিশের প্রশিক্ষণ শেষে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ, গৌরনদী, উজিরপুর এবং সর্বশেষ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে বদলি হয়ে পেশাদারিত্বের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বরিশাল জেলার উজিরপুর মডেল থানায় কর্মরত অবস্থায় স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বে-দখল কৃত মার্কেট উদ্ধার করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছে দখল বুঝিয়ে দিয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোরন সৃষ্টি করেন।
দুমকি উপজেলার চরবয়ড়া গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জলিল মৃধা ও উপজেলার আজিজ আহমেদ কলেজের প্রভাষক ও একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদক এবাদুল হকসহ স্থানীয়রা জানান, মাজিদুল হক চার বছর যাবৎ চাকুরী করেছেন পুলিশে । এলাকায় অত্যান্ত মার্জিত ও ভদ্র স্বভাবে চলাফেরা করেন। চাকুরীর সুবাদে খুব কমই এলাকায় আসেন। বাড়িতে তার পৈত্রিক ভিটায় একটা চৌচলা টিনের ঘর আছে যা তিনি তিন থেকে চার বছর সময় লেগেছে নির্মাণ করতে।
এলাকাবাসী আরো জানান, এস আই মাজেদুল কে হেয় প্রতিপন্ন করতে স্থানীয় কুচক্রী মহলের নেতৃত্বে "পারিবারিকভাবে অস্বচ্ছল হলেও অবৈধ আয়ের ফলে মাত্র ছয় বছর চাকুরী করে গ্রামের বাড়িতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ করে দালান-কোঠা নির্মাণ করেন এবং নিজ জেলা পটুয়াখালী শহরে ৩৭ লাখ টাকায় ১৪ শতাংশ/৭ কাঠার একটি প্লট ক্রয় করেছেন" বলে অপপ্রচার করে হয়রানি মূলক সংবাদ প্রচার করান। নাম সর্বস্ব এ সকল অনলাইন ও আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় সংবাদ দেখে এলাকাবাসীর হতভম্ব হয়ে পড়ে।
এসআই মাজিদুল হক সাংবাদিকদের কে জানান, তিনি চাকরিতে যোগদান করেছেন মাত্র চার বছর এবং কর্ম জীবনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সরকারি দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে পালন করেন আসছেন। জনগণের কাঙ্খিত সেবা প্রদানের মাধ্যমে জনবান্ধন পুলিশিং করাই আমার কাজ।
তিনি আরো বলেন- পটুয়াখালী শহরে তার নামে বেনামের কোন সম্পত্তি নেই।এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদেরকে বলেন আমি যে সকল থানায় কর্মরত ছিলাম সে সকল থানায় আমি নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে স্থানীয়দের মন জয় করেছি।যার ফলে একাধিক বার জেলার শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :