জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে শেরপুর জেলায় অনুষ্ঠিত হবে মাসব্যাপী জাতীয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন।
জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আজ দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন,জেলার ৮৬,৫০২জন কিশোরীকে এইচপিভি প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বিত উদ্যোগে জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে সকল প্রস্তুুতি রয়েছে।মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা.আহসানুল হক হিমেল।
তিনি বলেন ,শুক্রবার ও সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত মোট ১৮ দিনের প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী/ কিশোরী (১০–১৪ বছর) ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কমিউনিটির ১০–১৪ বছর বয়সী কিশোরীদেরকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ব্যয়বহুল এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে। ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ও জন্মনিবন্ধন বিহীন কিশোরীদেরকে হোয়াইট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের প্রথম ১০দিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র সমূহে এবং পরবর্তী ৮ দিন স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রসমূহে কিশোরীদেরকে এইচপিভি টিকা দেয়া হবে।
আরও বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যাবে। এটি কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবার এক নতুন দিগন্ত। দেশে প্রতি বছর হাজার হাজার নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছে। এই মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে বর্তমান সরকার সারাদেশে আবারও বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে ৷
সংবাদ সম্মেলনে প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা,কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ,সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদলসহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন ৷
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :