নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক, ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজীর মামলাসহ বহু মামলার অন্যতম আসামি গেদুরাজ বাহিনীর প্রধান গেদুরাজ ওরফে যুবরাজ ওরফে আব্দুল আলিম ওরফে দুধরাজকে (৬৫) আটক করেছে কাশিমপুর থানা পুলিশ।
শনিবার (১৯ অক্টোবর)সন্ধ্যায় কাশিমপুরের ২নং ওয়ার্ডের তেঁতুইবাড়ী এলাকায় বেক্সিমকো কোম্পানির মায়ানগর হাউজিং থেকে তাকে আটক করা হয়।
বেক্সিমকো গ্রুপের একটি চাঁদাবাজী মামলায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
এছাড়াও বিভিন্ন সময় তিনি নারীদের ধরে এনে মদ্যপান ও যৌনতায় বাধ্য করে। ইতিমধ্যে মদ্যপানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেক্সিমকো গ্রুপের একটি হাউজিং প্রকল্প থেকে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবী করেন।এসময় কর্তৃপক্ষ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রকল্পের ভেতরে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে নির্মাণ কাজের জন্য রড, সিমেন্টসহ প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মালামাল কয়েকটি ট্রাকে করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, এসময় বেক্সিমকো কোম্পানির মায়ানগর হাউজিং প্রকল্পের বেশ কিছু নিরাপত্তা কর্মী ছুটে এসে গেদুরাজকে আটক করে কাশিমপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্হলে গিয়ে আটক করে নিয়ে আসে পুলিশ। পরে তার ছেলে কাওসারসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কাশিমপুর থানায় একটি এজহার দায়ের করেন রবিউল ইসলাম নামের বেক্সিমকো কোম্পানির সিকিউরিটি গার্ড।
কাশিমপুর ও আশুলিয়ায় নিরীহ মানুষের জমি দখলের অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে দুই থানায়। এমন কোন অপকর্ম নেই যে তার বাহিনী করে না। এসব নিউজ করায় সুযোগ পেলে সাংবাদিকদের ধরে পেটাতেন তিনি। গ্রেফতারকৃত গেদু রাজের নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে সাভার, আশুলিয়া ও কাশিমপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনটি মামলা, মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা, সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজিসহ তার বিরুদ্ধে বহু মামলা রয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :