গোপালগঞ্জে অভিযান চালিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন মুন্সীসহ ৪ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় ৩জন ও সেনাবাহিনীর উপর হামলা ও গাড়ী পোড়ানো মামলায় ১জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক মিলন মুন্সী, ছাত্রলীগ কর্মী সাব্বির মুন্সী ও রানা মোল্লা।এবং সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে সেনাবাহিনীর উপর হামলা ও গাড়ী পুড়িয়ে দেয়া মামলায় কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম।
গতকাল শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে গ্রেপ্তাকৃতদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রবিবার ( ২০ অক্টোবর) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে এরা দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিল। পুলিশের নিয়মিত অভিযানে এদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শনিবার রাতে যার যার বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রবিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামে যাচ্ছিলেন। তার গাড়ি বহরটি এ দিন বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহত হয়।
এছাড়া গত ১০ আগস্ট ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ মহাসড়কে অবরোধ করে যান চলাচলে বাধা প্রদান ও গাড়ী ভাংচুর করে। এ তথ্যের ভিত্তিত্বে গোপালগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের মেজর মোঃ আকিকুর রহমান রুশাদের নেতৃত্বে একটি টহল দল সেখানে গেলে আন্দোলনকারীরা সেনা সদস্যদের উপর হামলা করে এবং দুটি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এ সময় সেনাবাহিনীর একটি জীপ ভাংচুর পুড়িয়ে দেয়া হয়।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :