সোনালী ব্যাংকের নরসিংদী জেলার শিবপুর শাখায় অর্থ লেনদেনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। ওই শাখায় বেতন, পেনশন ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কাজের বিল তুলতে গিয়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ঈদ ঘিরে ব্যাংকটিতে লেনদেন বেড়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়।
শিবপুর সদর রোডের নওরিন প্লাজার দ্বীতীয় তলায় সোনালী ব্যাংকের শিবপুর শাখাটি অবস্থিত। এ শাখা থেকেই বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন, উন্নয়নমূলক কাজের বিল, শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ও অবসর ভাতা উত্তোলন করা হয়। এ ছাড়া বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও বিধবা ভাতাও এ শাখা থেকে তোলা হয়। সোনালী ব্যাংক শিবপুর শাখায় ৪৫ হাজারের মতো গ্রাহক রয়েছেন। প্রতিদিন ৫ শত থেকে ৮ শত গ্রাহক এখান থেকে সেবা নিয়ে থাকেন বলে জানা যায়।
গত রবিবার এবং সোমবার বিভিন্ন কাউন্টারের সামনে গ্রাহকদের দীর্ঘ সারি চোখে পড়ে। এসব গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টাকা তোলার জন্য অনেক গ্রাহককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।গত বুধবার ব্যাংকে গিয়ে জানা যায়,দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত লাইনে দাড়িয়ে ছিলেন একজন নারী গ্রাহক,লাইনে দাঁড়ানো সর্বশেষ গ্রাহক হিসেবে তার টাকা জমা নিবেনা বলে জানান ৬ নং কাউন্টারের অফিসার,পরে অনেক অনুরোধের প্রেক্ষিতে টাকা জমা নেওয়া হয়।
এ ধরনের আচরণ প্রতিটি কাউন্টারেই করা হয় বলে জানান। তাছাড়াও ব্যাংক কর্মকরতাদের অশোভন আচরণ নিয়েও অভিযোগের শেষ নেই সোনালী ব্যাংক শিবপুর শাখার বিরুদ্ধে।ব্যাংকের লেনদেন ১০ টা থেকে ৪ টা হলেও অফিসিয়াল কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা ৬ টা পর্যন্ত,অথচ চারটার পর থেকেই কর্মকরতারা ডেস্ক থেকে উঠে চলে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেন। সেবা নিতে যাওয়া গ্রাহকদের সাথে করা হয় তাচ্ছিল্যস্বরুপ আচরণ।
শিবপুর শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই ব্যাংক থেকে সব ধরনের সরকারি লেনদেন হওয়ায় গ্রাহকের চাপটা অনেক বেশি। তবে কোন গ্রাহক টাকা জমা বা গ্রহন করতে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে যদি ৫ টাও বেজে যায় তবে তার লেনদেন সম্পূর্ণ করেই তাকে বিদায় দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোন গ্রাহকের এ ধরনের কোন সমস্যা হলে সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি সমস্যার সমাধান করে দিব। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ শাখায় গ্রাহকেরা সর্বোচ্চ মানের সেবা দেওয়ার চেষ্টা আমি করি। অনেক সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অনেকে ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তখন হয়তো-বা ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও পরিস্থিতি সামলাতে বাধ্য হয়ে খারাপ ব্যবহার করেন,তবে এটা কখনোই উচিৎ নয়। আর এ নিয়ে আমাকে কোন গ্রাহক অভিযোগ করেনি। আমি এ বিষয়টি নিয়ে কর্মকরতাদের সাথে কথা বলব।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :