* টাকা আয়ের সুযোগ
* প্রথম বারের ভাগে এক লাখ নয় হাজার ৬২৫ টাকা
* আরো সড়কে পরিকল্পনা
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বন বিভাগের একটি প্রকল্পে টাকা আয়ের সুযোগ থাকছে বলে জানা গেছে। সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে একই সড়কে দ্বিতীয়বার লাগানো গাছের পরিচর্যা গতকাল শুক্রবার শেষ হয়েছে। প্রথম বার একই কার্যক্রমে একজন সদস্য ভাগে পেয়েছিলেন প্রায় এক লাখ দশ হাজার টাকা। যা ছিলো আয়ের টাকা। উল্লাপাড়ায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ধরইল পাকা সড়কের ঝবঝবিয়া ব্রীজ এলাকা থেকে ধামাইলকান্দি বাজার অবধি প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির দুপাশে নানা ধরণের বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানো হয়েছে। উপজেলা বন বিভাগের আওতায় সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে বামন ঘিয়ালা ও মধুপুর গ্রামের নানা পেশার ২২ জন মিলে একটি দল গঠন করে সড়কটির দুপাশে বছর দেড়েক আগে প্রায় দুই হাজার গাছ লাগিয়েছেন।
এর মধ্যে আকাশমণি বেলজিয়াম গাছের সংখ্যা বেশী এবং বাকী গাছ হলো মেহগিনি , অর্জুন। সরেজমিনে দেখা গেছে সড়কটির দুপাশে লাগানো গাছের পরিচর্যায় ডাল পালা ছেটে দেওয়া হচ্ছে। এলাকার জনা চারেক ব্যক্তি এ কাজ করছেন। এছাড়া গাছগুলোর গোড়াসহ পুরো সড়কের দুপাশের আগাছা পরিস্কার করা হচ্ছে। প্রতিবেদককে গাছ লাগানো দলটির সভাপতি মো. আছাহাব আলী বলেন বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে আগ্রহী হয়ে নানা পেশার ২২ জন মিলে দল গঠন করে গাছগুলো লাগিয়েছেন। এখন পরিচর্যা করা হচ্ছে। বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে গাছ লাগানো থেকে শুরু করে পরিচর্যাসহ কাটা অবধি যাবতীয় খরচ তারা ২২ জন মিলে করবেন। একই সমান হারে সবাই খরচের টাকা দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন পনেরো থেকে আঠারো বছর বয়সকালে গাছগুলো কেটে বেচবেন বলে তাদের সিদ্ধান্ত আছে।
এ কার্যক্রমে আয়ের টাকা তারা সমান হারে ভাগ করে নেবেন। তবে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমের নিয়ম নীতি মোতাবেক তারা গাছ বেচার পুরো টাকা পাবেন না। তারা ধরইল পাকা সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ অংশে দ্বিতীয় বার গাছগুলো লাগিয়েছেন বলে জানান।
এর আগে প্রথম বার বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে বামন ঘিয়ালা এলাকার ছয় জন দল গঠন করে গাছ লাগিয়েছিলেন। বছর দুয়েক আগে সে গাছগুলো বেচা হয়েছে। সে দলের সভাপতি মো.কায়েম উদ্দীন প্রতিবেদককে বলেন আঠারো বছর বয়সকালে গাছগুলো বেচা হয়েছিলো। তারা ছয় জনের প্রতিজন ১ (এক) লাখ ৯ ( নয় ) হাজার ৬২৫
টাকা করে পেয়েছিলেন। তার এক ছেলে নতুন দলে আছেন।
উল্লাপাড়া উপজেলা বন কর্মকর্তা দেওয়ান শহীদুজ্জামান বলেন ধরইল পাকা সড়কের দুপাশে তার বিভাগ থেকে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে আগ্রহীরা দল গঠন করে গাছগুলো লাগিয়েছেন। তিনি একাধিক বার সেখানে পরিদর্শন করেছেন। এখানে লাগানো গাছগুলো বিক্রির মোট টাকার পঞ্চান্ন (৫৫) ভাগ দলের সদস্যগণ পাবেন। সে সময় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সদস্য সবাই সমান হারে টাকা ভাগ করে নেবেন। একই সড়কের শ্রীকোলা মোড় এলাকা থেকে পূর্ণিমাগাতী পর্যন্ত তার বিভাগ থেকে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে গাছ লাগানো হবে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :