খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার দুদক খুলনা কার্যালয় থেকে অভিযুক্ত আবু সাঈদসহ অফিসের আরও তিন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
দুদকের সূত্র অনুযায়ী, ঢাকার নির্দেশে খুলনা পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত পরিচালক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, আবু সাঈদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে এবং সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক উম্মে সালমা তানজিয়ার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি এ সংক্রান্ত তদন্তও করেছে। তদন্তকারী দল জানতে চেয়েছে, সিলেট পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত থাকাকালীন তিনি ঘুষসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কিনা এবং সেসময় তাকে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা।
ইতিমধ্যে দুদক এইসব তথ্য সংগ্রহের জন্য পাসপোর্ট অধিদপ্তর মহাপরিচালকের কাছে পত্র পাঠিয়েছে এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলামের কাছে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠাতে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।
এদিকে, খুলনা পাসপোর্ট অফিসের অন্যান্য কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর সুপারিনটেনডেন্ট মুন্সি শহিদুল আলম, অফিস সহকারী আফসানা আনসারী এবং পরিচালকের গাড়ীর চালক শামীম আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। এছাড়া, পরিচালক আবু সাঈদকে আগামী ৫ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের খুলনা জেলা কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে।
এই তদন্তের মাধ্যমে খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা প্রশাসনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :