গাজীপুরের শ্রীপুরে পারিবারকি কবরস্থান থেকে এক রাতেই ৫টি কঙ্কাল চুরি হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরের দল ওই কবরস্থানের ৫টি কবর খুঁড়ে কঙ্কালগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রামানিক বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে এলাকার মানুষ কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রæত গ্রেফতারের দাবি জানান।
স্থানীয় আশরাফুল ইসলাম রাজিব বলেন, শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে তিনি ওই কবর স্থানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় কবর স্থানের মাটি উঠানো দেখে কাছে গিয়ে দেখেন ৫টি কবর খোঁড়া। কবরস্থানের স্বজনদের খবর দিলে তাঁরা এসে ৫টি কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পায়। সেগুলোতে কোনো মরদেহ ও কঙ্কালের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ওই কবর স্থানের স্বজনেরা বলের, চোরেরা হযরত আলী মুন্সির ছেলে আলি হোসেন, তাঁর স্ত্রী হালিমা, মৃত উসমান মিয়ার ছেলে শাহজাহান, ওয়াহিদুজ্জামান খানের ছেলে তনয় খান, আলী আজমের ছেলে আবুল হোসেন ডলারের কবর থেকে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার তিনদিন আগে পাশের মৃধা বাড়ীর পারিবারকি কবরস্থান থেকে আলেম মৃধা, হৃদয় মৃধা, শিরো মৃধার ৩টি কবরের কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে যায়।
তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ২নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইকবাল সরকার বলেন, সকালে তিনি স্থানীয় প্রামানিক বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির খবর পান। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫টি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে।
এদিকে, কঙ্কাল চুরির খবর পেয়ে এলাকার মানুষ কবরস্থানে গিয়ে ভিড় করেন। বেশ কয়েকজন স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কঙ্কাল চুরির ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তিন দিনের ব্যবধানে দুইটি পারিবারিক কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এভাবে কঙ্কাল চুরির ঘটনা এ এলাকায় আগে কখনো ঘটেনি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, স্থানীয় এক স্বাস্থ্য পরিদর্শকের মাধ্যমে তিনি কবর থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা শুনেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কঙ্কাল চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টাও চলছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :