AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এখন গলার কাটা কোটচাঁদপুরের দশ গ্রামের মানুষের


Ekushey Sangbad
সুব্রত কুমার, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ
০৪:৫০ পিএম, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪
দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এখন গলার কাটা কোটচাঁদপুরের দশ গ্রামের মানুষের

দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এখন গলার কাটা হয়েছে দশ গ্রামের মানুষের। সামান্য বৃষ্টিতে ওই রাস্তা পাড়ি দিতে তাদের ঘুরতে দশ কিলোমিটার রাস্তা। আর এভাবেই বছরের পর বছর চলছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এ চিত্র ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের লক্ষিপুর চার রাস্তার মোড় থেকে ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের রাস্তার।

জানা যায়,ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের রাস্তা এটি। রাস্তাটি লক্ষিপুর,দয়ারামপুর,ধোপাবিলা ভোমরাডাঙ্গা গ্রামে যাবার মোড় থেকে শুরু হয়েছে। এ মোড় থেকে ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের সঙ্গে মাত্র দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। রাস্তাটি এখন দশ গ্রামের মানুষের গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে,এমনটাই বলছিলেন,চুয়াডাঙ্গা গ্রামের জামিরুল ইসলাম। তিনি বলেন,প্রতিনিয়ত এ রাস্তাটি দিয়ে আমরা যাতায়াত করে থাকি।

এ ছাড়া রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করেন ও মাঠের ফসল ঘরে তোলেন প্রায় দশ গ্রামের মানুষ। যার মধ্যে রয়েছে,ভোমরাডাঙ্গা, সোয়াদি, চুয়াডাঙ্গা, ধোপাবিলা, মল্লিকপুর, ভগবানপুর, লক্ষিপুর, শিবনগর, দয়ারামপুর।

তিনি বলেন, রাস্তাটি লক্ষিপুর মোড় থেকে ভোমরাডাঙ্গা গ্রাম পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা। সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে আমাদের ঘুরতে হয় দশ কিলোমিটার রাস্তা।

তিনি আরো বলেন,আমার দাদা,পিতা এভাবে বসবাস করে গেছেন। আমাদের জীবনও প্রায় শেষ। জানিনা আমরা  জীবিত থাকতে রাস্তাটি হবে কিনা।

জামিরুল ইসলাম বলেন, এ রাস্তাটি দিয়ে এ এলাকার মানুষ মাঠ থেকে  তাদের উৎপাদিত ফসল বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যেতে হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় আগের সোনাতনি পদ্ধতি গরুর গাড়ি ও দিন মুজুরের মাধ্যমে মাথায় করে তা বহন করতে হয়।

লক্ষিপুর গ্রামের সাত্তার আলী ও আশরাফুল আলম ক্ষোভের সঙ্গে  বলেন,কত জরুরী মানুষ এ রাস্তায় আসলো,কেউ করে দিতে পারলো আমাদের এ রাস্তা। তারা বলেন, আমাদের বাপ দাদারা এভাবে কস্টো করে চলাচল করে জীবন পার করেছে। এখন আমাদের জীবন পার করার মত হয়ে গেল। জানিনা আমাদের ছেলে মেয়েরা ভাল রাস্তায় চলাচল করতে পারবে কিনা। তবে আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছি। এখন নিজেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু বলেন,রাস্তাটি সম্ভবত আমাদের। তবে রাস্তাটি সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নাই। আমি স্বরজমিনে দেখার জন্য আমার অফিসের হুইজাইফাকে দায়িত্ব দিয়েছি। ওনি এসে রিপোর্ট করলে, বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।

তবে প্রকৌশলীর আশ্বাসের এক মাস পার হয়ে গেলেও ওই রাস্তা সম্পর্কে কোন তথ্যই আজও দিতে পারেনি গণমাধ্যম কর্মীদের।

 

একুশে সংবাদ/এনএস

Link copied!