গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও চুরির ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০/১৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ ইতোমধ্যে এ মামলার আসামি রাশেদ মোশাররফ শিপলু, রাজু ও হোসাইন আহম্মেদ আজাদ সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমীর মো: নুরুন্নবী প্রধান গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল ও গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি সহ ৫৬ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ১৫০ থেকে ১৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি বিকাল সোয়া ৫টার দিকে উল্লেখিত নামধারী আসামিগণসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০/১৬০ জন আসামি গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের গরুহাটি থেকে লাঠিসোটা, লোহার রড, কুড়াল, শাবল, ছুরি, রামদা, হকিস্টিক, ককটেল ও পেট্রোলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পশ্চিম চারমাথায় অবস্থিত গোলাপবাগ দারুল ফোরকান ট্রাস্ট ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ের সামনে এসে ১নং আসামি সাবেক সাংসদ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন আসবাবপত্র একত্রিত করে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে। এতে কার্যালয়ে থাকা ৫টি মোটরসাইকেল, অসংখ্য বই ও আসবাবপত্র সহ আনুমানিক ১১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার সম্পদ পুড়ে ভস্মীভূত হয়। এ সময় আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে সকল অফিসের গেইট, স্টিলের দরজা, ৬টি জানালা, ৩০ বান্ডিল ঢেউটিন, ৫ টন স্টিলের এঙ্গেল, ৩০ হাজার ইট, ৮টি স্টিলের আলমারি, ৬টি স্টিলের টেবিল, ১৫টি ফ্যান, ১৫০টি চেয়ার, ২টি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফটোকপি মেশিন, প্রিন্টার, টিউবওয়েল ও মোটর পাম্প চুরি করে নিয়ে যায়। এর মোট আনুমানিক মূল্য ১৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
মামলার বাদী মো: নুরুন্নবী প্রধান বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে তৎকালীন ওসি মামলা নেয়নি। বিষয়টি সাংগঠনিক হওয়ায় ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে মামলা করতে দেরি হয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালে জামায়াতে ইসলামীর অফিসে অগ্নিসংযোগ ও চুরির অভিযোগে বুধবার রাতে একটি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়ে এই মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :