কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় স্বামী নুরুল আবছারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নারী রুনা আক্তারের ভাই সিরাজদৌল্লাহ বাদী হয়ে কুতুবদিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. আরমান হোসেন বলেন, মামলায় রুনা আক্তারের স্বামী নুরুল আবছার নুরুর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এহাজারে বাদী উল্লেখ করেছেন, নুরুল আবছার নুরুর সঙ্গে অন্য নারীর পরকীয়া সম্পর্ক থাকার জের ধরে এই হত্যা সংঘটিত হয়েছে।
গ্রেপ্তার নুরুল আবছার নুরু কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের শান্তি বাজার এলাকায় মৃত রহিম দাদের ছেলে। অপর দুজন হলেন- একই এলাকার আমির উদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেন (৩২) ও পূর্ব তবলার চর এলাকার আবদুর জব্বারের ছেলে সাকিব হাসান রানা (১৫)।
ওসি আরমান হোসেন জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার হওয়া স্বামী ছাড়া অপর দুজন ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার প্রমাণ মিলেছে। নিহতের বাড়ির ৪টি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে অপর দুজনের কাছে। গ্রেপ্তার তিনজনকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি, বলেন ওসি আরমান।
এর আগে গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নিজ ঘরে নুরুল আবছার নুরুর স্ত্রী রুনা আকতার (৩২) ও মেয়ে ওয়াসিমা নুরে জারিয়ার (৬) গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি আরমান জানান, শনিবার রাতে নুরুল আবছার নুরুকে প্রধান করে নিহত স্ত্রীর বড় ভাই হাফেজ সিরাজদৌল্লাহ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী সিরাজদৌল্লাহ কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কাজীর পাড়ায় আল-কুরানুল কারিম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও স্থানীয় হায়দার পাড়া মসজিদের ইমাম।
এজাহারে বাদী বলেছেন, রুনা আক্তারের স্বামী নুরুল আবছার ওরফে নুরু সওদাগর অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক থাকায় তাদের দাম্পত্য জীবনে প্রায় সময় ঝগড়াঝাটি হতো। তারই জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
আরমান বলেন, পুলিশ এই ঘটনায় নুরুল আবছার নুরুকে আগেই আটক করে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছিল। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ধরা হয় অপর দুইজনকে। পুলিশ তদন্ত করে যাচ্ছে। আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনা আরও পরিষ্কার হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :