শেরপুরের নালিতাবাড়ীরতে এক মৎস্য খামারির প্রায় ১ কোটি টাকার মাছ আকস্মিক বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের সাগরদি কৃষ্ণপট্রি গ্রামের হাফিজুর রহমানের মমতা মৎস্য খামারের মাছ বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
জানা যায়, ২০১৩ সালে তিন একর জমির চারটি পুকুর নিয়ে মৎস্য খামার শুরু করেন। প্রতি বছর খামারের আয় দিয়ে জমি ক্রয় করে বর্তমানে সাড়ে সাত একর জমির উপর ৯টি পুকুর নিয়ে মৎস্য খামার চলছিল। ২০১৭ সালে নালিতাবাড়ী উপজেলায় শ্রেষ্ঠ মৎস্য খামারীরর স্বীকৃতি পেয়েছে মমতা মৎস্য খামার। এ বছর জানুয়ারীর দিকে ৯ টি পুকুরে ৫ লক্ষ শিং, কার্ব জাতিয় মাছ ৭০ হাজার, থাই তেলাপি ২০ হাজার, পাপদা ১ লক্ষ ৪০ হাজার ও বড় সাইজের কাতলা মাছ ছাড়া হয়েছিল। মাছের পোনা, খাদ্য, ঔষধ, শ্রমিক ও অন্যান্যসহ মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। যা আগামী জানুয়ারী দিকে বিক্রয় করলে প্রায় ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা বিক্রয় হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু গত ৪ অক্টোবর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষনে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর তীর ভেঙ্গে নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রায় সবকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে যায়। ৪ অক্টোবর রাতেই মমতা মৎস্য খামারের সকল পুকুর গড়িয়ে পানি শ্রোত শরু হয়ে যায়। পানির স্রোতের সাথে ভেসে যায় খামারী হাফিজের স্বপ্ন। হাফিজের স্বপ্ন ছিল এ বছর মাছ বিক্রি করে একটি সুন্দর থাকার ঘর করবে এ জন্য গত বছর ইটও ক্রয় করা হয়েছিল।
মমতা মৎস্য খামারের মালিক হাফিজুর রহমান জানান, মৎস্য খামারের উপর কৃষি ব্যাংক থেকে ২০ লক্ষ টাকা লোন করেছি সাথে রয়েছে খাদ্যের পরিবেশকে বকেয়া টাকা। এখন ব্যাংক লোন ও পরিবেশকের টাকা কেমনে দিব চিন্তায় ঘুম আসে না। সরকারী সগযোগিতা পেলে ঘুরে দাড়াতে পারতাম।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সারোয়ার হোসাইন বলেন, উপজেলায় ৭২২ হেক্টর জমির ২ হাজার ৮শ ৭৫ টি পুকুরের ২৮ কোটি ১০ লক্ষ ১৯ হাজার টাকার মাছ ভেসে গেছে। তার মধ্যে মমতা মৎস্য খামারের মালিক হাফিজের পুকরও রয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে ক্ষতিপুরন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে আশা করা যায় কিছু ক্ষতি পুরন সৎস্য চাষিরা পাবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :