ইউপিডিএফের তিন কর্মীকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। বুধবার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে ইউপিডিএফ প্রসীতপক্ষ। বিবৃতিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে নব্য মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলেও তাদের সহযোগী নব্য মুখোশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। গত বছর এই সন্ত্রাসীরা পানছড়ির পুজগাঙে বিপুল চাকমাসহ চারজনকে হত্যা করলেও তাদের বিরুদ্ধে সরকার-প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
আগামীকাল খাগড়াছড়ি জেলায় ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে জেলার সব যানবাহনের মালিক-শ্রমিকের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে। এর আগে বুধবার সকাল ১০টার দিকে পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নের শান্তিরঞ্জনপাড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফ (প্রসিত) গ্রুপের তিন কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মন্যা চাকমা ওরফে সিজন (৫০), খরকসেন ত্রিপুরা ওরফে শাসন (৩৫) এবং পরান্টু চাকমা ওরফে জয়েন (২২)।
ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, নিহত ব্যক্তিরা ওই এলাকায় সাংগঠনিক কাজ করতেন। ১৩ থেকে ১৪ জনের একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই তিনজন নিহত হন। ইউপিডিএফ এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিককে দায়ী করে ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, নব্য মুখোশধারী বাহিনী (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
তবে ইউপিডিএফ–গণতান্ত্রিকের সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দলের কারণে ঘটেছে।’
এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, তারা গোলাগুলির খবর শুনেছেন। এলাকা দুর্গম; ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :