AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাগেরহাটে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট
০৬:৪৪ পিএম, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪
বাগেরহাটে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার চরকুলিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিবা খাতুন ও তার স্বামী বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম দুলালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বিদ্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজমুল হুদা, আবু জার আল মেহেদি, দিন ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে রফিকুল ইসলাম দুলাল বিদ্যালয়ের সভাপতি ও তার স্ত্রী হাবিসা খাতুন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই থেকে দুই স্বামী স্ত্রী মিলে বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি করে যাচ্ছেন। নিয়োগ বানিজ্য, স্বজন প্রিতি, ক্ষমতার অপব্যহার, বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকে বেতন নেওয়াসহ সকল প্রকার দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছেন। তদন্তপূর্বক এই অনিয়মের বিচার দাবি করেন মানববন্ধনকারীরা।

আবু জার আল মেহেদি বলেন, ২০০৪ সালে মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন ছাড়া বিপুল অংকের টাকার মাধ্যমে ৬-৭ শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করেন। অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে ইরানী বেগম নামের এক নারীকে ২০০৪ সালে কৃষি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ওই নারী ২০১০ সালে এইসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু তার নিয়োগ হয়েছে ২০০৪ সালে এটা কতবড় দূর্নীতি তা আপনারা বলেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষিকা হাসিবা খাতুন কয়েকবার ০৩ মাসের ছুটি নিয়ে বিদেশ ভ্রমন করার কথা বলে ৫-৬ মাসের অধিক সময় বিদেশে অবস্থান করেছেন। ওই সময়ে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বেতন ভাতাও উত্তোলন করেছেন অবৈধভাবে। প্রধান শিক্ষিকা তার স্বামীর সহযোগিতায় ২০০৪ সালে ৮জন শিক্ষককে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ প্রদান করেন। পরে বেতন করাতে না পারায়, তারা চলে যায়। এছাড়াও বিদ্যালয়ে না আসা, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ রয়েছে এই প্রধান শিক্ষক ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে।

এদিকে এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা মোল্লাহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোল্লাহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তা মোঃ মফিজুর রহমান সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেছেন। তবে তদন্তাধীন বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক হাসিবা খাতুন বলেন, আমি কোন অনিয়ম করিনি। স্থানীয়রা অভিযোগ দিয়েছে হয়ত কারও প্ররোচনায় পড়ে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আমি শাস্তি মেনে নিব।

একুশে সংবাদ/ এস কে

Link copied!