রাজশাহীর তানোরে খাস জায়গার বাঁশ ও গাছপালা কেটে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কলমা ইউনিয়ন ইউপির শংকর পুর গ্রামে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। এঘটনায় গ্রামবাসীর পক্ষে ঈদুল আযহা নামের এক ব্যক্তি দখলদার পশু চিকিৎসক সামাউন আলী ও শহিদুল ইসলাম কে বিবাদী করে বুধবার উপজেলা নির্বাহীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ উল্লেখ, উপজেলাধীন ০১ নং কলমা ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়াডের শংকরপুর গ্রামে০১ নং খতিয়ান ভুক্ত পুকুরটি পূর্বে শংকরপুর গ্রামবাসির দখলে ছিলো উক্ত পুকুরটি ভূমি কর্তৃক লীজ গ্রহনকারী শহিদুল ইসলাম। নিম্ন তফশীল বর্ণিত পুকুরটি বর্তমানে বিবাদী সামাউন ও শহিদুল মিলে জোরপূর্বক প্রটেকশন ওয়াল নির্মাণ করে এবং উক্ত পুকুরটির নামা ওঠার রাস্তটি (খাস) জবরদখল করে বাড়ি নির্মানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা গ্রামবাসি বাধাদিলে আমাদেরকে গালি গালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমরা গ্রামবাসি অসহায় ও বিপদে পড়েছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শংকরপুর গ্রামের পাকা রাস্তার উত্তরে পুকুর। পুকুরে প্রটেকশন ওয়াল নির্মাণ করা আছে। পুকুরের পশ্চিম দিকের বেশকিছু বাঁশ কেটে সাবাড় করা হয়েছে। পুকুরের পশ্চিম বালু ও দক্ষিণে ইট ফেলা আছে। বালু স্তুপ সংলগ্ন জায়গায় বেশকিছু গাছ রোপন করা আছে।
গ্রামের বেশকিছু লোকজন জানান, অতীতে পুকুরে গোসল করা সহ গরু মহিষ গোসল করানো হত এবং প্রয়োজনীয় কাজ করা হত। কিন্তু সরকারের পতনের পর পুকুরে চলাচলের জায়গায় গাছ রোপন, ইট ও বালু রাখা হয়েছে। নিষেধ করলেও তারা শোনেনা। ক্ষমতার দাপটে সবকিছু করছে। কারন সামাউনের এক ভাই প্রশাসনে কর্মরত। আর সে পশু চিকিৎসক প্রভাব শালী।
সামাউনের পিতা সুলতান আলী জানান, এক থেকে দেড় শতক জায়গা খাস আছে। স্থাপনা করতে নিষেধ করেছে তহসিল অফিস থেকে। কিন্তু গাছ রোপন করতে বলেছে। এজন্য গাছ রোপন করা হয়েছে।
সামাউন জানান, আমার ক্রয়কৃত জায়গা। আমি বাড়ি নির্মাণ করব। খাস জায়গা বাদ রেখেই করা হবে। বাঁশ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদ উত্তর দিতে পারেন নি।
অভিযোগ কারী ঈদুল আযহা জানান, গ্রামের প্রায় লোকজন মানা করার পরও সবকিছুই করবেন প্রভাব শালী সামাউন। তার ভয়ে কেউ কথা বলতে পারেনা। সে সবাই কে ম্যানেজ করে খাস জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :