শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানাধীন বারোমারী সাধু লিওর খ্রিস্টান ধর্মপল্লীতে দুই দিনব্যাপী ‘ফাতেমা রাণী মা মারীয়ার তীর্থোৎসব-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত ব্রিফিং প্যারডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল ৪ টায় বারোমারী মিশন চত্বরে পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম মহোদয়ের সভাপতিত্বে তীর্থোৎসবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে ডিউটিতে নিয়োজিত হওয়ার পূর্বে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার-ফোর্সদের অংশগ্রহণে এই ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ সুপার মহোদয় তাঁর বক্তব্যে, `প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দু’দিন ব্যাপী এই মিশনে তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের কাজ হলো সার্বিক নিরপত্তা নিশ্চিত করা। আমরা পালা ডিউটি`র মাধ্যমে নিরাপত্তা বজায় রাখাবো। আমরা এমন স্বাক্ষর রেখে যেতে চাই! যাতে মিশন কর্তৃপক্ষ বলে যে, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আচরণ ভালো ছিলো।
কাউকে সন্দেহভাজন মনে হলে পুলিশ সদস্যদের মিশন কর্তৃপক্ষ/সেচ্ছাসবক বা তার ইনচার্জকে অবিহিত করা সহ এখতিয়ার বহির্ভূত কোন কাজ না করার আহ্বান জানান। তিনি, আমরা যে পেশাদার বাহিনী সদস্য সেটা কর্মের মাধ্যমেই আবারও প্রতিস্থাপন করতে চাই বলে উল্লেখ করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকলকে পেশাদারিত্বের সহিত দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
ব্রিফিং শেষে পুলিশ সুপার মহোদয় বারোমারী মিশনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে ফোর্স মোতায়েন স্থান ও মিশনে বিভিন্ন কার্যক্রম সরজমিনে পরিদর্শন করেন।
ব্রিফিংয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) জনাব মোঃ দিদারুল ইসলাম, নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ ছানোয়ার হোসেন, ওসি, ডিবি জনাব মোঃ সালেমুজ্জামান, রেভারেন্ট ফাদার তরুণ বনোয়ারি-সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও এপিবিএনের বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শেরপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার উত্তরে নালিতাবাড়ী উপজেলা ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেষা নৈসর্গিক পাহাড়ি পরিবেশের উপত্যকায় বারোমারী মিশন চত্বরে হলো ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থল।
বারোমারী খ্রিস্টান ধর্মপল্লী ১৯৯৭ সালে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে ও অনুকরণে এ তীর্থস্থল স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর থেকেই প্রতিবছর এখানে তীর্থোৎসব পালিত হয়ে আসছে। এই তীর্থোৎসবকে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশের হাজারো ভক্তের আগমনে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অন্য রকম রূপ নেয় পাহাড়ি এই জনপদ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :