AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের দুদিন ব্যাপী বার্ষিক তীর্থোৎসব  অনুষ্ঠিত


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর
০৬:৪০ পিএম, ১ নভেম্বর, ২০২৪
ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের দুদিন ব্যাপী বার্ষিক তীর্থোৎসব  অনুষ্ঠিত

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভারত সীমান্তঘেঁষা বারোমারী সাধু লিওর খ্রিস্টধর্ম পল্লীতে দুদিনব্যাপী বার্ষিক তীর্থোৎসব শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে শেষ হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ‘প্রার্থনার অনুপ্রেরণা ফাতেমা রাণী মা-মারিয়া; যে পরিবার একত্রে প্রার্থনা করে, সে পরিবার একত্রে বসবাস করে’ এই মূল সুরের ওপর ভিত্তি করে ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের দুদিন ব্যাপী বার্ষিক তীর্থোৎসব শুরু হয়।

তীর্থ উৎসবে উদ্বোধনী খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাজ গোমেজ।

বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় অনুষ্ঠিত হয় আলোক শোভাযাত্রা। এতে ৩০ হাজারেরও অধিক খ্রিস্টভক্ত মোমবাতি জ্বালিয়ে দুই কিলোমিটার পাহাড়ি ক্রুশের পথ অতিক্রম করেন। রাত ১০ টায় অনুষ্ঠিত হয় সাক্রামেন্তের আরাধনা ও সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় নিশী জাগরণ। পরে শুক্রবার সকাল ৮ টায় অনুষ্ঠিত জীবন্ত ক্রুশের পথ ও সকাল ১০ টায় মহা খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী তীর্থোৎসবের সমাপনী হয়।

উৎসবে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম, ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের বিশপ পল পনেন কুবি সিএসসি, বারমারী ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার তরুণ বনোয়ারী, সহকারী পাল পুরোহিত ফাদার নোবেল পাথাংসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে তীর্থ উৎসব ঘিরে নেওয়া হয় চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও গ্রাম পুলিশরা এতে নিরাপত্তা প্রদান করেন। তীর্থ উৎসব উপলক্ষে পাশের স্কুলমাঠে বসে বিরাট মেলা। এতে খ্রিস্টভক্ত ছাড়াও অন্য ধর্মের মানুষ কেনাকাটা করেন।

তীর্থোৎসবে আসা তীর্থযাত্রীরা জানান, ফাতেমা রানী মা মারিয়ার কাছে যে যা চান, তিনি তাদের তা-ই দেন। তার কাছে আসা ভক্তদের মনের আশা পূরণ করেন। এজন্য অনেকেই তাদের পরিবারের সাথে এসেছেন। অনেকে এসেছেন তাদের পরীক্ষা এবং শিক্ষাজীবনে ভালো ফলাফল করার জন্য। আবার অনেকেই এসেছেন পরিবারের সুখ-শান্তি কামনা করার জন্য।

প্রধান অতিথি ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাজ গোমেজ বলেন, ঈশ্বরের আর্শিবাদ পাওয়ার জন্য খ্রিস্টভক্তরা এখানে প্রতিবছর দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। এখানে এসে ঈশ্বরের অশেষ কৃপা প্রার্থনা করে মানসিক মুক্তি ও পারিবারিক শান্তি লাভ করেন। মা মারিয়া হলেন আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল। তাই সবাই এখানে ছুটে আসেন সৃষ্টিকর্তার আর্শিবাদ কামনা করেন। এছাড়া বিশ্ব শান্তি কামনায় তীর্থ উৎসবে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে।

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, খ্রিস্টভক্তরা যাতে নির্বিঘ্নে তীর্থ উৎসব পালন করতে পারে সেজন্য তীর্থস্থানে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। শান্তিপূর্ণভাবেই তীর্থ শেষ হয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/ এস কে 

Link copied!