AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নিলামে উঠছে এমপিদের বিলাসবহুল ৫২ গাড়ি


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
০৯:৩৮ পিএম, ১ নভেম্বর, ২০২৪
নিলামে উঠছে এমপিদের বিলাসবহুল ৫২ গাড়ি

আমলাতান্ত্রিক জটিলতার পাশাপাশি নিলামে দীর্ঘসূত্রতার কবলে পড়ে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে শত কোটি টাকা দামের অন্তত ৩০০ গাড়ি। ১০ থেকে ১২ বছর আগে আমদানি করা নামীদামি মডেলের চলাচল অনুপযোগী এসব গাড়ি এখন পড়ে আছে বন্দরের খোলা শেডে। স্ক্র্যাপ হিসাবে কেজি দরে বিক্রি ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই গাড়িগুলোর।

এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে- মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ, জাগোয়ার, টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, রেঞ্জ রোভার, মিতসুবিশি, ফোর্ড, লেক্সাস ব্র্যান্ডের গাড়ি। গত ১৫ বছরে ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা মূল্যের দামি গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় এনেছেন এমপিরা।

কাস্টমস সূত্র বলছে, শুল্কছাড়ে অর্ডার করলেও সাবেক এমপিদের এসব গাড়ি নিতে হলে এখন ৮৫০ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হবে। সেই সঙ্গে পূরণ করতে হবে কাস্টমসের শর্তাবলি। তবে সাবেক এমপিদের অনেকেই পলাতক থাকায় গাড়িগুলো তাদের নেয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই গাড়ি বন্দরে আসার ৩০ দিন অতিবাহিত হতেই সেগুলো নিলামে তুলছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ মাসের মধ্যেই নিলামের তারিখ চূড়ান্ত হবে।

এরই মধ্যে দুই দফায় ২৪ জন এমপিকে শর্ত মেনে গাড়ি খালাস করতে নোটিশ দিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এটি নিয়ম রক্ষার নোটিশ। মূলত নিলামেই উঠবে সব গাড়ি।  

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, বিলাসবহুল এসব গাড়ির শুল্কসহ প্রতিটির বাজারমূল্য ৮ থেকে ১২ কোটি টাকা। গাড়িগুলোর ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার সিসি। স্বাভাবিকভাবে এ ধরনের গাড়ির ওপর ৮৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এমপিরা এসব গাড়িতে পেতেন শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা। এখন সংসদ না থাকায় তারা শুল্কমুক্ত সুবিধা আর পাবেন না।

তাহলে নোটিশ পাঠালেন কেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্দরে গাড়ি আমদানির পর ৩০ দিন পার হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বন্দর নিলামের জন্য কাগজপত্র আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। ওই কাগজপত্রে ছাড় না করা গাড়িগুলোর বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। এরপর আমরা আমদানিকারক বরাবর একটি নোটিশ ইস্যু করি। নোটিশে বলা থাকে নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে গাড়ি ছাড় করার জন্য। ইতোমধ্যে এমপি বা তাদের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে নোটিশ পৌঁছানো হয়েছে। তবে এখানে অনেক শর্ত যুক্ত আছে। যেগুলো আসলে পূরণ করতে পারবেন না সাবেক এমপিরা। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, নিলাম কার্যক্রম তদারকি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আমরা নিলামযোগ্য পণ্যের তালিকা তাদের দিই। ৫২টি গাড়ির মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে যেগুলো ৩০ দিন আগে আমদানি হয়েছে, সেগুলোর তালিকা দিয়েছি আমরা কাস্টমসকে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!