বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ৭ নভেম্বর নিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলের প্রস্তুতিমূলক সভায় আওয়ামী লীগ ও নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকদের উপস্থিত দেখে বিএনপি নেতার প্রতিবাদ করায় দুই গ্রুপের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটনায় পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সেই নেতা।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে খন্দকার টাওয়ারে প্রস্তুতি মূলক সভায়।এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। `রাজনৈতিক আমলনামা` নামক একটি ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে।
স্ট্যাটাটি তুলে ধরা হচ্ছে- ২-১১-২০২৪ শনিবার দুপুরে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আলোচনা সভা ডেকেছে উপজেলা বিএনপি`র সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম।সভায় উপস্থিত হয়েছেন ১২ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ও নিক্সন চৌধুরীর সৈনিকেরা। এরই প্রেক্ষাপটে বিএনপি`র আজিমনগর ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজ মিয়া প্রশ্ন করেন এরা কারা? এরাই ১৪-১৫ বছর জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে এবং বিএনপি`র লোকজনকে ডিস্টাব করেছে। আজ কেন এরা মিটিংয়ে এসেছে? কারা এদেরকে দাওয়াত দিয়েছে? এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তার মধ্যে সেলিম খন্দকারের আস্থাভাজন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শামীম মিয়া নামের এক নেতা বলেছেন আমি দাওয়াত দিয়েছি আপনার কি? প্রয়োজন হলে আপনি এখান থেকে বের হয়ে যান। তখন বিএনপি নেতা সিরাজ মিয়া বলেন, আমি জাতীয়তাবাদী দলে বিশ্বাসী, আওয়ামী লীগ বা নিক্সন চৌধুরীর রাজনীতি আমরা করি না তাহলে কেন বিএনপি`র মিটিংয়ে এরা উপস্থিত থাকবে? এক পর্যায়ে আজিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজ মিয়া রেগে বলেছেন তাহলে আমি চলে গেলাম, যেখানে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে আপনারা মিটিং করবেন সেখানে আমি থাকতে পারিনা। তখন সেলিম খন্দকারের লোকজন সিরাজ মিয়াকে ঠেলা ধাক্কা দেয়। তখন উনি (সিরাজ মিয়া)পড়ে গিয়ে স্টক করেন। উনাকে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পরে চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে রিফার্ট করেন বর্তমানে তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আহত বিএনপি নেতাকে হাসপাতালে দেখতে যান ফরিদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফরিদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ফজলের সোবহান শামীম বলেন, নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল সেইটা মীমাংসা হয়ে গেছে। আর সিরাজ মিয়া আমাদের লোক তিনি হার্টের সমস্যার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আমাদের মাঝে কোন বিভেদ নাই।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা পৌর জাতীয়তাবাদী দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান পান্না বলেন, যাদের দ্বারা বিএনপি নির্যাতিত তাদেরকে দাওয়াত দেওয়া অবশ্যই খারাপ কাজ, এটা আমরা আশা করি না, আমি এর নিন্দা জানাই, বিএনপি`র আজিমনগর ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজ মিয়া প্রতিবাদ করতে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে তিনি পড়ে গিয়ে স্টক করেছেন তিনি এখন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :