উচ্চ আদলতের নির্দেশ ও সড়ক পরিবহন আইন-২০০৮ অনুযায়ী মহাসড়কে থ্রি-হুইলারের মতো যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও সিরাজগঞ্জ হাইওয়ে মহাসড়কে অবাধে চলছে থ্রি-হুইলার সিএনজি, অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা। মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব যানবহন। অভিযোগ রয়েছে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট মাসোহারা দিয়েই এ অঞ্চলের মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে অবাধে চলছে এসব যানবাহন।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদার হাটিকুমরুল মহাসড়কের পাশে হাইওয়ে থানার সামনে দিয়ে চলে নিষিদ্ধ থ্রি হুইলার তবুও অদৃশ্য শক্তির কারণে নেওয়া হচ্ছে না ব্যবস্থা। এবিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে কয়েকদিন লোক দেখানো অভিযান চালানো হয়। কয়েকদিন পর মহাসড়কে আবার আগের মতোই চলে থ্রি-হুইলার।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-বনপাড়া, ঢাকা-বগুড়া, ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে দেখা যায়, বেপরোয়াভাবে চলছে থ্রি-হুইলার যানবাহনগুলো। হাটিকুমরুল মহাসড়কগুলোতে অবাধে যাতায়াত করছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। মহাসড়কগুলোর পাশেই রয়েছে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড। প্রতিদিন হাটিকুমরুল থেকে সিরাজগঞ্জ শহর, হাটিকুমরুল থেকে বেড়া, পাবনা, হাটিকুমরুল থেকে নাটোর, বনপাড়া হাটিকুমরুল থেকে বগুড়া প্রর্যন্ত থ্রি-হুইলার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে।
অভিযোগ রয়েছে, মহাসড়কে এসব সিএনজি চালাতে মাসে ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা মাসোহারা নেয় হাইওয়ে পুলিশ। মাসিক মাসোহারার বাইরে যেসকল সিএনজি রয়েছে, তাদের মাঝে মাঝে আটক করে থানায় আনার পর ৬০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা জরিমানার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। আবার অনেক সময় জরিমানার কম অর্থ দিলেই মামলা ছাড়াই থ্রি-হুইলার চলার অনুমতি মেলে। দালাল চক্রের কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা আতাত করে মাসোহারার মাধ্যমে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিএনজি চালক বলেন, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অভিযানের নামে পুলিশ অনেক অনিয়ম অত্যাচার করে আমাদের উপরে। যেগুলো কারো চোখে পড়ে না। বেশিরভাগ সময় জরিমানার কম ১ হাজার থেকে ১৫শ’ টাকা নিয়ে মামলা ছাড়াই থ্রি-হুইলার ছাড়িয়ে দেয়।
পুলিশের সঙ্গে দালালদের যোগসাজস আছে। এ দালালরাই পুলিশের সঙ্গে আবার অভিযানে থ্রি-হুইলার ধরতে যায়। মহাসড়কে যাতে পুলিশ গাড়ি না ধরে সেজন্য দালালদের মাসিক ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দিলে সমস্যা থাকে না। মাসিক এ টাকাগুলো দালালদের মাধ্যমে পুলিশের কাছে যায়।
মহাসড়কে অবৈধভাবে সিএনজি যাতায়াতের ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে। ঝুঁকিতে থাকে এসব সিএনজিতে থাকা যাত্রীরা। এছাড়াও এসব মহাসড়কে যাতায়াতকারী দ্রুতগামী বাস ও ট্রাক দুর্ঘটনায় পড়ে।
এ বিষয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল করার বিষয়ে আমি কোন সাক্ষাৎকার দিতে পারব না। আমাদের উপর থেকে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিষেধ রয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :