ফাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের তৎকালীন সময়ে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় বিভিন্ন নাশকতা মামলার পরিকল্পনাকারী ও মূল হোতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাজিমুল হুদা খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমিনুল ইসলাম সুমন ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের এজাহারভুক্ত সাত নেতাকে নাশকতা মামলায় গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
গত রোববার রাতে ঢাকার মিরপুর সেনানিবাস এলাকার একটি ফ্লাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাজিমুল হুদা খন্দকার, সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু, ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমিনুল ইসলাম সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুন্দগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামিম-উল-ইসলাম, আদমদীঘি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাঃ সম্পাদক একরাম হোসেন মন্ডল। এ নিয়ে এই মামলায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ৪ আগষ্ট আদমদীঘিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঠেকাবার জন্য আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রায় ২৫০ জন নেতাকর্মী ককটেল, পেট্রোল সাবল ও লাঠি সোডাসহ ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত দলবদ্ধ হয়ে আদমদীঘি সদরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপির অফিসের সামনে ককটেল নিক্ষেপ ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে বিএনপি অফিসে ঢুকে দরজা জানালা ভাংচুর, চেয়ার, কাঠের আলমারী, ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ও শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে পুড়ে ফেলে। এ ঘটনায় উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গত ২৫ আগষ্ট রাতে ১২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২৫০জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইন তৎসহ বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এজাহারভুক্ত উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :