চুয়াডাঙ্গায় পূর্বে সতর্কতা সত্ত্বেও ভেজাল ও নিম্নমানের শিশুখাদ্য বিক্রির অপরাধে মেসার্স জনি স্টোর নামের এক প্রতিষ্ঠানের মালিককে ৪ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ দুপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার এলাকায় জেলা টাস্কফোর্স কমিটি ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের জেলা কার্যালয়ের কতৃক অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন,মেসার্স জনি স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানকে পুর্বে সতর্ক করা সত্ত্বেও আজ তদারকিতে অননুমোদিত ও নিম্নমানের নকল ভেজাল শিশুখাদ্য বিক্রয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ মুল্যবিহীন পণ্য ও শিশুখাদ্য বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। উক্ত অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. হামিদুর রহমান জনিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে চার লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।এসময় অননুমোদিত নিম্নমানের নকল ভেজাল শিশুখাদ্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ মুল্যবিহীন পণ্যে ভর্তি ৬টি গোডাউন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে এই শিশুখাদ্যগুলো দোকান মালিক সমিতি, চেম্বার অফ কমার্স, সাংবাদিকবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি ও সচেতন ভোক্তাদের উপস্থিতিতে টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে ধ্বংস করা হবে।
তিনি আরও বলেন,এই প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. হামিদুর রহমান জনিকে কয়েক বছর আগে একই অপরাধে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি এর পরেও সংশোধন না হয়ে তার নকল ভেজাল শিশুখাদ্যের ব্যবসা আরও অধিকতরভাবে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পার্শ্ববর্তী জেলা মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও সকল উপজেলাগুলোতে তিনি এই নকল ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ শিশুখাদ্য ডিলার হিসেবে সাপ্লাই দেন।
এসময় সব ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা সহ সবাইকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় বিক্রয়, ভাউচার সংরক্ষণ ও মুল্যতালিকা প্রদর্শনএবং সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ করে ভোক্তা অধিকার।
অভিযান কাজে সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জনাব মো.রাশেদুজ্জামান, ক্যাব প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি, নিরাপদ খাদ্য প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সার্বিক সহযোগিতা করেন জুলফিকার এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :