এখন ভরা কার্তিক। পৌষ আগমনের বাকি আরও ১ মাসের বেশি। কিন্তু প্রকৃতি এখনই শীতের পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে। ভোরে শিশিরসিক্ত করছে দূর্বাঘাস ও গাছপালা। সকালবেলা কোমল রোদে মুক্তোদানার মতো জ্বলজ্বল করে। দিনে সূর্যের তাপের প্রখরতাও অনেকটাই কমেছে। মাঠ-ঘাটে শ্রমজীবীরা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন। পশ্চিমাকাশে সূর্য ঢলে পড়লে আরাম বোধ যেন আরও বেড়ে যায়। সকালের মতোই সন্ধ্যার পল্লী যেন নীল কুয়াশার আঁচলে আচ্ছাদিত হয়ে যায়।
পরম মমতায়। রাত যত বাড়ে, তত শীতের অনুভবও বৃদ্ধি পায়। প্রকৃতির এই পরিবর্তন বার্তা দিচ্ছে এই বুঝি শীত এলো। প্রকৃতিতে এখন ঋতুবদলের আয়োজন। শরৎ শেষে হেমন্ত নামছে। এরপর শীতকাল। কিন্তু এখনই প্রকৃতি যেন জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। জামালপুর জেলায় শীত নামা শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে প্রকৃতিতে বইতে শুরু করেছে হিম বাতাস। শিশির ভেজা সবুজ ঘাসের ওপর ভোরের সূর্যের আলো হালকা লালচে রঙয়ের ঝিলিক দেখা গেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ঘাসের মাথায় যেন মুক্তোর মতো।
শিশির কণা জমে আছে। সারদিনের মৃদু গরম শেষে গভীর রাত থেকে শুরু হচ্ছে হালকা হিমেল হাওয়া, সঙ্গে নামছে ঘন কুয়াশা। শীতকে ঘিরে সক্রিয় হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলের ভাপা পিঠার দোকানগুলো, ভীড় জমাচ্ছে ছোট বড় সকলেই । মাদারগঞ্জের খাদেমুল বলেন, ঘাসের ওপর শিশির কণা রৌদ্রে ঝলমল করে, হাঁটাচলা করলে শীতে পা ভিজে যায়। আমাদের এলাকায় শীতের
আগমন ঘটে গেছে। শীত এলাকার মানুষের জন্য কষ্টের সঙ্গে আনন্দেরও। ঘাসে ডগায় মুক্তোর মতো শিশির কণা এক অপরুপ দৃশ্য। চরপাকেরদহ এলাকার ফরিদ মিয়া বলেন, শীত নামার আগেই ভাপাপিঠা বিক্রি শুরু করেছি। হালকা শীতআর নতুন গুড়ের গরম গরম পিঠা খেতে বেশ মজা।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :