কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ঘোশকান্দি গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী মো. শফিক মিয়ার স্ত্রী আখিনুর বন্যার পরবর্তী তিন মাসেও মাটির অভাবে মেরামত করতে পারেনি তার বসতভিটা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বন্যায় আখিনুরের বসতভিটার মাটি চলে গেছে পাশের বাড়ির মৃত গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী আয়শা বেগমের জমিতে। উক্ত মাটি আখিনুর আনতে গেলে বাধা দেয় আয়শা বেগম। বিষয়টি এলাকার আউয়াল মিয়া নামে একজনকে জানালে তিনি মাটি দিয়ে দিতে বলেন আয়শা বেগমকে। এসময় দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এতে আয়শা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে পাশের গ্রামের পোড়াকান্দি তার ভাইয়ের ছেলেদের জানালে আাবু সাঈদ, ফারুক, ইধন ও ওমর সানি সংঘবদ্ধ হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় দাসকান্দি বাজারে আউয়াল মিয়াকে মারধর করে।
এঘটনায় আউয়াল মিয়া বাদী হয়ে চার জনকে আসামী করে তিতাস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ঘোশকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. আরিফ মিয়া বলেন, বন্যায় আখিনুরের ঘরের ভিটার মাটি আয়শা বেগমের জমিতে চলে গেছে, আমরা সকলে বলেছি মাটি গুলো দিয়ে দিতে, সে আয়শা বেগম মাটি না দিয়ে উল্টো ওনার ভাইয়ের ছেলেদের দিয়ে আউয়াল মিয়াকে মারধর করিয়াছে। অভিযুক্ত আবু সাঈদ বলেন, আমরা মারধর করিনি। সে আমার ফুফুকে গলায় চিপ দিয়েছে এঘটনায় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিচারে বসেছিল আউয়াল আসেনি,আমি জিজ্ঞেস করেছি বিচারে আসেননি কেন?
এবিষয়ে তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মামুনুর রশিদ বলেন, আউয়াল নামের এক ব্যক্তি একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
একুশে সংকাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :