নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার একাংশ এবং ভুলতা ইউনিয়নের একাংশ নিয়ে বৃহত্তর হাটাব গ্রাম এই গ্রামের হাটাব বাজার ঘাট থেকে বিলাসবহুল লঞ্চযোগে শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে কাপাশিয়া থানার রাণীগঞ্জের উদ্দেশ্য এই নৌ-ভ্রমনের আয়োজন করা হয়।
৮ই নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে হাটাব বাজার ঘাট থেকে শতাধিক ভ্রমণ পীপাষু যাত্রী নিয়ে রাণীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বিলাসবহুল লঞ্চটি। আয়োজকরা জানায়, আজকে আমাদের নৌ-ভ্রমনে যাত্রীদের জন্য সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও বিকালে হালকা নাস্তা। বিনোদনের জন্য থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রেফেল ড্র ।
নৌভ্রমণ আপনার ব্যস্তজীবনে প্রকৃতির নির্মল আমন্ত্রণ।ইট-পাথরের নগর থেকে একটু দূরে প্রকৃতির সাথে কিছু সময় কাটানোর জন্য সুযোগ থাকছে নৌ-ভ্রমনে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের শান্ত শীতলক্ষ্যা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে নৌ-ভ্রমনের বিকল্প নেই। নৌ-ভ্রমন যাত্রায় শীতলক্ষ্যা নদীর উপর কাঞ্চন ব্রিজ দেখতে অপূর্ব। ভ্রমণ মানেই শান্তি। আর আপনি যদি নৌ ভ্রমণে আসেন তাহলে নদীর টলমলে জলে ঢেউয়ের তালে মিশে যেতে পারবেন এক আনন্দ জগতে। তাই আসলাম আনন্দ উপভোগ করতে।বাংলাদেশের এক কালের বিখ্যাত মসলিন শিল্প শীতলক্ষ্যা নদীর উভয় তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল। বর্তমানেও নদীর উভয় তীরে প্রচুর পরিমাণে ভারি শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। অধুনালুপ্ত পৃথিবীর বৃহত্তম পাটকল আদমজী জুট মিল শীতলক্ষ্যার তীরে অবস্থিত ছিল।
এই নদীর তীরে ঘোড়াশালের উত্তরে পলাশে তিনটি এবং সিদ্ধিরগঞ্জে একটি তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র অবস্থিত। বাংলাদেশের অন্যতম নদীবন্দর নারায়ণগঞ্জ বন্দর ও শহর এই নদীর তীরে অবস্থিত। শীতলক্ষ্যায় নৌকায় করে ভ্রমণের সময় দেখতে পারবেন পো পো শব্দে লঞ্চ ঘাটে ভিড়ছে, আবার কোনটা ছেড়ে যাচ্ছে। কোথাও আবার ঢেউয়ের তালে তালে নৌকাগুলো দোল খাচ্ছে। আবার চোখের পলকে সাঁই সাঁই করে আপনকে ডিঙ্গিয়ে যাবে মালবাহী জাহাজ। এখানে দেখা পাবেন নৌ দুর্ঘটনায় এগিয়ে আশা উদ্ধারকারী জাহাজ। এখানে ঘণ্টা হিসেবে নৌকা ভাড়া দেওয়া হয়। সুযোগ পেলে আপনি উঠে পড়তে পারেন দূর পাল্লার বড় বড় লঞ্চ সমূহে। সেখানে পেয়ে যাবেন লঞ্চের রান্না করা মুখরোচক খাবার সমূহ।
শীতলক্ষ্যা নৌকায় ঘোরার সময় খেয়াল করতে হবে লঞ্চ বা অন্য নৌযান কোথায় কোথায় চলাচল করছে। সেসব জায়গা এড়িয়ে চলাচল করা ভালো। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তবেই নৌকায় ভ্রমণ করুন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :