AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ধনবাড়ীতে শীতের আগমনী বার্তা, লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা


ধনবাড়ীতে শীতের আগমনী বার্তা, লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

কুয়াশাঝরা সকাল আর ঘাসের ওপর ছড়িয়ে পড়া শিশিরবিন্দু জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। আর শীতের শুরুতেই টাংগাইলে ধনবাড়ীতে  লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন কারিগররা। ঋতু বৈচিত্রে রাতে কুয়াশা আর দিনে হাল্কা গরম থাকলেও ঠান্ডার প্রকোপ কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। ফলে ঠান্ডা নিবারণে ধনবাড়ী এ অঞ্চলের মানুষের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।

টাংগাইল জেলার ধনবাড়ী  উপজেলাটি নদী বেষ্টিত হওয়ায় শীতকালে এ অঞ্চলে তুলনামূলকভাবে শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। প্রতি বছরের অভিজ্ঞতা থেকে ঠান্ডা নিবারণের জন্য লেপ-তোষক বানিয়ে মানুষের আগাম প্রস্তুতিও চলছে। আর এ সুযোগে পশরা সাজিয়ে বসেছেন পুরাতন কাপড়ের দোকানিরাও। গতকাল  ধনবাড়ী  শহরের লেপ-তোষক তৈরির দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।

ধনবাড়ী উপজেলার হবিপুর  গ্রামের ফয়েজ আলী  বলেন, ঠান্ডা বাড়ছে, তাই পুরাতন লেপের তুলা বদলিয়ে নতুন কাপড় দিয়ে সেলাই করে নিচ্ছি। পরে ঝামেলা হয়, তাই আগাম লেপ-তোষক বানাচ্ছি। 

ব্যবসায়ী মফিজ  জানান, বর্তমানে প্রকার ভেদে লেপ-তোষক তৈরির কাপড় প্রতি গজে ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে। এছাড়া শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, প্রতি কেজি কালো হুল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, সাদা তুলা ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা করে দাম চলছে।

দোকানি সামছুল  হোসেন বলেন, প্রতিটি লেপ-তোষক বানাতে মজুরি হিসেবে দু’শ থেকে তিন টাকা খরচ হয়। বর্তমান বাজারে গার্মেন্টস ঝুট দিয়ে তোষক তৈরিতে এক হাজার থেকে এক হাজার দু’শ পর্যন্ত টাকা খরচ পড়ে।

তাছাড়া কার্পাশ তুলা দাম বেশি হওয়ায় অনেকে গার্মেন্টসের তুলা দিয়ে লেপ তৈরি করে থাকেন। বাজারে কম্বলের তুলনায় লেপের দাম কম থাকায় চাহিদাও বেশি থাকে। এসময় অনেক কারিগর ও ব্যবসায়ী শীত আসার আগেই পর্যাপ্ত পরিমাণে লেপ-তোষক তৈরি করে মজুদ রাখেন। 

দোকানি সামছুল  আরো বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ১৮টি লেপ-তোষক তৈরির আগাম অর্ডার পান। শীত আসলেই কারিগরদের কাজের চাপও বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

কারি গররা বলেন, আমরা বাড়তি আয়ের জন্য দিনরাত কাজ করি। ফলে দোকানগুলোতেও বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!