যশোরের অভয়নগর উপজেলার ১টি পৌরসভায় ও ৮ টি ইউনিয়নের জলাবদ্ধ এলাকা বাদে অধিকাংশ জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। সেই ধান ঘরে উঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার কৃষকেরা ।
অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকাতে সুবিধা হচ্ছে বলে জানান কৃষকেরা। তবে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় কারেন্ট পোকার আক্রমণের কারণে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার কাপাশহাটী গ্রামের চাষি রিয়াজ বলেন, আমার ধানের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ধান ঘরে তুলতে সহজ হচ্ছে। দাম ও বেশ ভালো পাবো আশা করি। তবে অধিকাংশ জায়গায় কারেন্ট পোকার জন্য ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
সড়কের পাশে নিজের জমিতে ধান কাটছিলেন বুনোরামনগর গ্রামের কৃষক মাসুদুল আলম তিনি বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম, যেখানে আমার জমিতে ২০ মন ধান পাওয়ার কথা সেখানে আমি ১০ মন ধান পেতে পারি, তাতে আমার খরচের টাকা ও উঠবে না। কারেন্ট পোকার জন্য আমি এই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এই বিষয়ে কোন সহায়তা বা পরামর্শ না পাওয়ায় তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে করণীয় বিষয়ে উপজেলা ব্যাপী লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। যে বিষ স্প্রে করা হয়েছে তা ধানের গোড়া পযর্ন্ত না পৌছানোয় কারেন্ট পোঁকা দমন হয়নি।
অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, আমনের উচ্চ ফলনশীল জাতের চাষ হয়েছে ১৩০০ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের চাষ হয়েছে ১৭৯০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের চাষ হয়েছে ২৫ হেক্টর জমিতে। জলাবদ্ধতা ১০,৯৭০ হেক্টর জমিতে চাষ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত দলগত ভাবে বৈঠক করে কৃষকদের বিভিন্ন উপদেশ দিয়েছি, কৃষকদে বেশি বেশি সচেতন করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়েছি।
যারা অতি বৃষ্টি বা জলাবদ্ধতায় ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আসন্ন শীত মৌসুমে সবজি আবাদের জন্য উপজেলার ৪৭৫ জন কৃষক কে সহযোগিতা করা হবে। সাথে তাদের সরকারের পক্ষ থেকে জনপ্রতি ১ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :