ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় দলের কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ জন নারী পুরুষ আহত হয়েছেন।
এমন ঘটনাটি ঘটে ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের সরইবাড়ী গ্রামে। আহতদের বিষয়টি ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আক্তার হোসেন নিশ্চিত করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সরইবাড়ি গ্রামে বহুদিন ধরে দুটি দলে বিভক্ত রয়েছে। খাঁন গ্রুপ ও তালুকদার গ্রুপ। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষে জড়ায় এরা। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন খান গ্রুপের জিন্নাত আলী খা, অপর তালুকদার গ্রুপের নেতৃত্ব দেন বাবু তালুকদার।
গত ১৫ দিন আগে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয় তালুকদার গ্রুপের হাসমত হাওলাদার(কারি সাহেব) এর সঙ্গে, খান গ্রুপের মহি হাওলাদারের। এরা দুইজন আপন চাচাতো ভাই, কিন্তু দুইজন গ্রাম্যভাবে দুই দলে চলে।
সেই জের ধরে মহি হাওলাদারকে হাসমত হাওলাদার ওরফে কারী সাহেব মারধর করে এ নিয়ে থানায় মামলা হয়। সেই মারামারির পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে প্রতিশোধ নিতে দুই দলের মাঝে ।
সেই ঘটনা নিয়ে আজ সোমবার ১১ নভেম্বর সকালে দুই গ্রুপে ঘোষণা দিয়ে সঙ্গবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ঢাল সরকি টেটা ও ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা চলতে থাকে এভাবে প্রায় ঘন্টাখানেক সময় পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ এর মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ততক্ষণ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত রাজু চৌধুরী, আবুল হোসেন হাওলাদার, আব্দুল লতিফ হাওলাদার, ও হাসমত হাওলাদার ওরফে কারী সাহেব কে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফার্ট করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ মোকসেদুর রহমান জানান, দু গ্রুপের সংঘর্ষের উভয় দলের একাধিক ব্যক্তিরা আহত হয়েছেন, এলাকায় ফের যেন সংঘর্ষ না ঘটে সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মামলা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :