মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বন বিভাগ ও বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের যৌথ অভিযানে লোকালয় থেকে একটি `রেসাস বানর` উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার রামনগর মনিপুরী পাড়ার বাসিন্দা শিমুল তরফদারের বাসা থেকে এ বানরটি উদ্ধার করেন বন বিভাগ ও বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের লোকজন। পরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা উদ্ধারকৃত বানরটিকে লাউয়াছড়া উদ্যানে অবমুক্ত করেন।
রামনগরের বাসিন্দা শিমুল তরফদার বলেন, এই বানরটি প্রায় দুই তিন মাস ধরে বানরটি এলাকায় ঘুরাফেরা করছে। প্রায়ই মানুষের ঘরবাড়িতে ঢুকে যায়। মানুষের ঘরের জিনিসপত্র ক্ষতি করে। আমাদের এলাকায় অনেক ছোট ছোট শিশু আছে। আমরা এই বানরটিকে নিয়ে অনেক আতঙ্কে থাকতাম। আজ সকালে আমাদের বাড়িতে প্রাণীটি ঢুকে গেলে আমরা ঘরের সব দরজা বন্ধ করে বন বিভাগকে জানাই। পরে বন বিভাগের লোকজন ও বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের লোকজন এসে এটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, উদ্ধারকৃত বানরটি একটি দলছুট বানর, এসব বানর দল বেধে থাকে। মূলত খাবারের খোঁজে বন ছেড়ে লোকালয়ে এটি অনেক দিন ধরেই রয়েছে বলে মনে করছি।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা বানরটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছি। এটি বানর প্রজাতির মধ্যে রেসাস বানর বা লাল বানর হিসেবে বেশ পরিচিত। এটি আইইউসিএনের লাল তালিকায় ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। উদ্ধারকৃত বানরটিকে বিকেলে লাউয়াছড়া বনে অবমুক্ত করে দিয়েছেন বলেও জানান বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।
জানা যায়, বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী, এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। বিশ্বব্যাপী এটির বিস্তৃতি রয়েছে এবং এর বাসস্থানের উপযোগী পরিবেশও বিদ্যমান। দক্ষিণ, মধ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় তৃণভূমিসহ বনাঞ্চলে এদের দেখা যায়। এরা মানব বসতির কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :