শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কসবা বারাকপাড়া নিমতলা এলাকার বাসিন্দা জনৈক নজরুল ইসলামের ছেলে শেরপুর সরকারি কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ সুমন মিয়াকে গত ৪ নভেম্বর শেরপুর পৌর শহরের সজবরখিলা মহল্লায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা ও মাটি চাপা দিয়ে গুম করা হয়। এঘটনায় ত্রিভুজ প্রেমের প্রেমিকা আন্নি ও অপর প্রেমিক রবিন ও তার বাবা মোঃ ফোরকান মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ১৩ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় শেরপুর সরকারি কলেজের সম্মুখে সুমন হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি এবং বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজ গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর এবং আদালত প্রাঙ্গণে সুমন হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও ফাঁসি দাবি করে স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিলে হত্যাকান্ডের শিকার শিক্ষার্থী সমুনের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
পুলিশ ও নিহত শিক্ষার্থী সুমনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কৃষক নজরুল ইসলামের ছেলে শেরপুর সরকারি কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী বাগরাকসা কাজিবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার জনৈক আজিম উদ্দিনের মেয়ে একই কলেজের শিক্ষার্থী আন্নির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তারা বিবাহ বন্ধনের অঙ্গীকার করে। এদিকে আন্নির সাথে ওই কলেজের অপর শিক্ষার্থী সজবরখিলা মহল্লার বাসিন্দা ফোরকান পুলিশের ছেলে রবিনের সাথেও আন্নির প্রেমের সর্ম্পক হয়। এই ত্রিভুজ প্রেমের ঘটনায় গত ৪ নভেম্বর মোবাইল ফোনে আন্নি তার প্রথম প্রেমিক সুমনকে রবিনদের বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। এসময় তার দ্বিতীয় প্রেমিক রবিন ও প্রেমিকা আন্নি সুমনকে হত্যা করে রবিনদের বাড়ির উঠানে মাটিচাপা দিয়ে গুম করে রাখে। এদিকে সুমন বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবার সদর থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। অপরদিকে নিখোঁজের ৭দিন পর পুলিশ ১২ নভেম্বর দ্বিতীয় প্রেমিক রবিনদের বাড়িত উঠান থেকে মাটি খুড়ে সুমনের গালিত লাশ উদ্ধার করে। ত্রিভুজ প্রেমের সুমন হত্যার ঘটনায় টকঅবদা টাউনে পরিনত হয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :