জয়পুরহাটের কালাই পৌরশহরের পাঁচশিরা বাজার এলাকায় ধান বিক্রির স্থান পরিবর্তনের প্রতিবাদে কৃষকরা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে জয়পুরহাট- বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলা এই অবরোধের কারণে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরবর্তীতে বাজারে পুনরায় ধান বেচা-কেনা শুরু হয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, যানজট নিরসনের লক্ষ্যে পাঁচশিরা বাজারের ধান ক্রয়-বিক্রয়ের স্থান পরিবর্তন করে কালাই হাটে স্থানান্তর করা হবে বলে বুধবার মাইকে প্রচার করা হয়। এতে মহাসড়কের পাশে রাখা ইট-বালু ও গাছের গুলসহ অন্যান্য সামগ্রী সরানোর নির্দেশও দেওয়া হয়। কৃষকরা নতুন স্থান কালাই হাটে ধান বিক্রির জন্য যানবাহনে করে আসলেও সেখানে ক্রেতার অভাব দেখা দেয়। এতে বাধ্য হয়ে তারা ধান নিয়ে আবার পাঁচশিরা বাজারে ফিরে আসেন। কিন্তু সেখানেও ধান কেনা বন্ধ থাকায় কৃষকরা হতাশ হয়ে মহাসড়কে অবরোধ শুরু করেন।
পৌরসভার আঁওড়া মহল্লার কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, “কালাই হাটে ক্রেতা না থাকায় আমরা ধান নিয়ে পাঁচশিরা বাজারে ফিরে আসি। কিন্তু এখানেও ব্যবসায়ীরা ধান না কেনায় আমাদের মহাসড়কে ধান বোঝাই ভ্যান ও ভটভটি রেখে বিক্ষোভ করতে হয়।”
এই পরিস্থিতিতে উপজেলা চাউল-কল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ আকন্দ বলেন, বহু বছর ধরে পাঁচশিরা বাজারে প্রতিদিন সকালে ধান-চাল ক্রয়-বিক্রয় হয়ে আসছে। হঠাৎ করে স্থান পরিবর্তনের ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন জায়গায় অনেক কিছু ভেবে ব্যবসায়ীরা ধান কেনা বন্ধ রেখেছেন। পরে পাঁচশিরা বাজারে তারা ধান ক্রয় করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিমা আক্তার জাহান বলেন, “অবরোধের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। আসলে সড়কের পাশে রাখা সামগ্রী সরানোর জন্য মাইকে প্রচার করা হয়েছিল। বাজার স্থান পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :