বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল জুড়ী উপজেলা শাখার প্রকাশিত কমিটিতে শ্রমিকদলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে ও আওয়ামীলীগের পদবিধারী ব্যক্তিদের অর্ন্তভূক্ত করে গোপনে কমিটি গঠন করে প্রচার করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন পূর্ববর্তী কমিটির নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে পূর্ববর্তী কমিটির সভাপতি শফিক উদ্দিন অভিযোগ করেন, কয়েকদিন পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল জুড়ী উপজেলা শাখার প্যাডে জেলা সভাপতির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ অক্টোবর উপজেলা শ্রমিকদলের পুর্নগঠন উপলক্ষে দলের উপজেলা কার্যালয়ে একটি জরুরী কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উক্ত সভায় জেলা শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সামছুল হক সামছু ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হাবিবুর রহমান সবির উপস্থিত ছিলেন মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, উপজেলা শ্রমিকদলের নিজস্ব স্থায়ী কোনো কার্যালয় নেই এবং উল্লেখিত তারিখে জেলার কোন নেতৃবৃন্দের জুড়ীতে আগমন এবং জুড়ীতে শ্রমিকদলের সভা হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। আমরা লজ্জিত হয়েই বলছি, উক্ত ঘোষিত কমিটিতে শ্রমিকদলের ত্যাগী নেতৃবৃন্দ বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগের দোসর ও শ্রমিকদলের সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যাক্তিদের নাম উল্লেখ করে কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত কমিটিতে ৯১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কমিটিতে ৮৬ জনের তথ্য রয়েছে।
পূর্ববর্তী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাকিম আহমদ অভিযোগ করেন, প্রকাশিত কমিটিতে সোনারোপা চা বাগানের আওয়ামীলীগ নেতা দিলীপ চন্দ্রকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, আওয়ামীলীগ নেত্রী ও জুড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিবুন খানম কে মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মহিলা সদস্য আফিয়া বেগমকে সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা সুমন দাসকে সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে। অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক হাবিব মিয়াসহ প্রকাশিত কমিটির ৮৬ জনের মধ্যে ৫০ জন-ই শ্রমিক পর্যায়ের নন এবং শ্রমিকদলের সাথে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
প্রকাশিত কমিটির বিভিন্ন পদে নাম আছে শ্রমিক দলের নেতা আব্দুল জব্বার, আব্দুস সোবহান, আসুক মিয়া, আলাউদ্দিন মিয়া, জামাল মিয়া ও সেলিম মিয়ার। আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তারা জানান, ১৪ অক্টোবরের কমিটি গঠন, জুড়ীতে সভা বা নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।
সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রমিকদলের নেতারা জেলা কমিটির নেতাদের এরকম কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে কমিটি বাতিল ও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কয়েস আহমেদ বলেন, দুইজন সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা সফর করে সবার সাথে আলোচনা করে কমিটি দিয়েছেন। আওয়ামীলীগের লোকদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আমাদের জানা নেই। প্রকাশিত কমিটির বিষয়ে আমাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে। আমরা বিষয়গুলো তদন্ত করছি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :