AB Bank
ঢাকা রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
হাসপাতালে ভোগান্তি পর্ব-১

‌‘কোমড়ে ব্যথা নিয়ে এক্স-রে করাতে এসে শুনি মেশিন নষ্ট’


‌‘কোমড়ে ব্যথা নিয়ে এক্স-রে করাতে এসে শুনি মেশিন নষ্ট’

ছবি: সায়েম খান, হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে এক্স-রে সেবা। এক্স-রে মেশিনে সমস্যা হওয়াই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। জরুরি প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে হাসাপাতালের বাহিরে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক্স-রে করাচ্ছেন রোগীরা। ফলে বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে তাদের।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত অক্টোবর মাসের ২১ তারিখ থেকে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হয়ে আছে। সেই থেকে হাসপাতালে আসা রোগীরা এক্স-রে করাতে পারছেন না। এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীরা এক্স-রে করাতে না পেরে ফেরত যাচ্ছেন। এতে রোগীদের সময় ও অর্থ নষ্ট হচ্ছে। যাদের এক্স-রে করা জরুরি, তারা হাসাপাতালের বাহিরের বিভিন্ন ডায়াগণস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্স-রে করছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, প্রতি মাসে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী এক্স-রে করিয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে মেশিন নষ্ট থাকায় অসংখ্য রোগী ভোগান্তির শিকার হয়ে ফেরত যাচ্ছেন।

ছবি: সায়েম খান, হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ

উপজেলার চালা ইউনিয়নের লাউতা গ্রামের আব্দুল আলিম জানান, আমার স্ত্রীর অনেকদিন যাবত ঘারে এবং কোমড়ে ব্যথা ডাক্তার এক্সরে করার জন্য বলেছেন। এই হাসপাতালে এসে শুনি এক্সরে মেশিন নষ্ট। এখন বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে হবে।

সেবা নিতে আসা আরেক রোগী নাসরিন আক্তার (৩৫) জানান, কোমড়ে ব্যথা নিয়ে এক্সরে করাতে এসে শুনি মেশিন নষ্ট। অনেকদিন হয় কোমড়ে আঘাত পেয়েছি এখন ব্যথার যন্ত্রণা বাড়ায় এক্সরে করাতে আসছি। কিন্তু মেশিন নষ্টের কারণে এক্সরে করাতে পারছি না।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন হাবিল বলেন, বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্সরে করাতে বেশি টাকা লাগে কিন্তু এই হাসপাতালে সরকারি খরচে অল্প টাকায় এক্সরে করা যেত কিন্তু মেশিন নষ্ট থাকায় বাইরে থেকে অতিরিক্ত টাকায় এক্সরে করাতে হবে।

হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কাজী এ. কে. এম রাসেল এক্স-রে মেশিন নষ্ট থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অত্র হাসপাতালের যে এনালক এক্সরেটি রয়েছে সেটি আমাদের পর্যালোচনা মোতাবেক গত ২১শে অক্টোবর থেকে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। বর্তমানে অকেজো অবস্থায় আছে। আমি যোগদানের পরে গত ১৩ নভেম্বর আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং ন্যাশনাল ইলেকট্রো-মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ বরাবর এটা মেরামতের জন্য একটি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। আশাকরি খুব শীগ্রই তা মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!