মোহনা টেলিভিশনের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি সাংবাদিক রেজাউল করিম বকুল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন ৷
শনিবার বিকেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় তাকে। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রাতে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে রাত ১২ টার দিকে নকলা এলাকায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৭ নভেম্বর (রবিবার) দুপুর আড়াইটার সময় তার জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় ৷
তিনি শ্রীবরদী উপজেলার গেরামারা গ্রামের এক সাধারণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শেরপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দশকাহনীয়া পত্রিকার মধ্য দিয়ে তার সাংবাদিকতা শুরু। এরপর দৈনিক মাতৃভূমি ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার শ্রীবরদী উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ হওয়ায় কালের কণ্ঠে যোগদান করেন তিনি।
এছাড়াও মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন হতে কাজ করে আসছিলেন। সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির শ্রীবরদী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) শ্রীবরদী শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মময় জীবনে তিনি ছিলেন নিরহংকার, নম্র, সহজ-সরল একজন চারণ সাংবাদিক। দায়িত্বশীল সংবাদ ও ফিচারের খোঁজে তিনি চষে বেড়াতেন পথে-প্রান্তরে।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তিনি স্ত্রী ও ৩ কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সাংবাদিক বকুলের মৃত্যুতে জেলার সাংবাদিক মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তার মৃত্যুতে শেরপুর প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব শেরপুর জেলা,শেরপুর অনলাইন জার্নালিস্ট ফোরাম, শ্রীবরদী প্রেসক্লাব, ঝিনাইগাতী প্রেসক্লাব, ঝিনাইগাতী রিপোর্টার্স ক্লাব, নকলা প্রেসক্লাব, নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাব, মানবাধিকার সংগঠন ‘আমাদের আইন’ সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :