দুই পরিবারের কলহে রাস্তা বন্ধ করায় বে-কায়দায় পড়েছেন প্রতিবেশী ও স্কুল মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা। বেশ কিছু দিন ধরে এ অবস্থা চলছে কোটচাঁদপুরের কাগমারি গ্রামে। যা দেখার কেউ নেই। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, কোটচাঁদপুরের কাগমারি গ্রামের নিমে খালি পাড়ার বাসিন্দা মিজানুর রহমান (মিজান) ও আব্দুল মবিনের পরিবার। ওই গ্রামের মাঝ দিয়ে চলে গেছে সড়কটি। যে সড়কটি দিয়ে কাগমারি গ্রামের সরকার পাড়া ও মাঝের পাড়ার বাসিন্দারা চলাচল করেন। স্কুল ও মাদ্রাসায় যায় শতাধিক শিক্ষার্থী।
বেশ কিছু দিন ধরে ওই রাস্তাটি নিয়ে কলহ চলে আসছে কাগমারি গ্রামের মিজানুর রহমান( মিজান) ও আব্দুল মবিন পরিবারের মধ্যে। কলহের জেরে ইতোমধ্যে দুই পরিবার থেকে ৪ টি মামলাও করেছেন আদালতে। যা চলমান রয়েছে। সম্প্রতি রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন মিজানের পরিবার। এতে করে চরম বে- কায়দায় পড়েছেন প্রতিবেশী ও স্কুল মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্র / ছাত্রীরা।
এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান বলেন,প্রতিবেশীদের চলাচলের জন্য নিজেরদের জমি দিয়ে রাস্তা করা হয়েছিল । ওই রাস্তায় কিছুটা জায়গায় কাঁদা হয়। তা সমাধানের জন্য তাদের বলা হয়। ওই প্রস্তাবে প্রতিপক্ষরা রাজি না হয়ে জোরপূর্বক বাড়ির মধ্যদিয়ে চলাচল করতে থাকেন। আমরা তাদেরকে নিশেধ করায় তারা আমার ও আমার পরিবারের সকলকে মারপিট করেন। আমি নিরুপায় হয়ে বিষয়টি নিয়ে আদালত মামলা করেছি।
রাস্তা বন্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,আমি রাস্তা বন্ধ করতে চাইনি। তারা আমাকে রাস্তা বন্ধ করতে বাধ্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই রাস্তা নিয়ে আদালতে একটি মামলা করেছি,অন্যদিকে প্রতিপক্ষরা আমাদের নামে তিনটি মামলা করেছি। তারা মামলা তুলে নিলে মিজানুর রহমান রাস্তা খুলে দিবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে আব্দুল মবিন বলেন,মিজানুর রহমানের সঙ্গে আমার পারিবারিক কলহ। রাস্তাটি তিনি সেই কলহের পুজি হিসেবে নিয়েছেন। ওনার সঙ্গে কোন ঘটনা ঘটলে তিনি রাস্তা বন্ধ করে রাখেন।
তিনি বলেন, মিজানের সমস্যা আমার সঙ্গে। তিনি আমার রাস্তা বন্ধ করেছেন, তাতে সমস্যা নাই। তবে রাস্তা বন্ধ করায় সমস্যায় পড়েছেন এ এলাকার শতাধিক শিক্ষার্থী ও প্রতিবেশীরা। ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেছেন তিনি।
প্রতিবেশী আব্দুল কুদ্দুস ও শাহিনুর রহমান বলেন, রাস্তাটি বন্ধ করায় আমরা বেকায়দায় পড়েছি। সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে স্কুল মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তবে এর একটা সুষ্ঠু সমাধানের প্রয়োজন। তা না হলে এটি নিয়ে আরো বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তারা বলেন, ইতোমধ্যে রাস্তাটি নিয়ে বেশ কয়েক বার গোলযোগ হয়েছে। বিষয়টি মামলা ও চলমান রয়েছে আদালতে।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নাই। তারপরও জমিজমা নিয়ে ঘটনা, এটা ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বললে ভাল হয়। ওনি যদি আমাকে বলেন, সেক্ষেত্রে এক সঙ্গে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কাজ করা যায়।
উপজেলা সহকারী কমিশন (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল মাওয়া বলেন, ঘটনাটি জানা ছিল না। এখন আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমি এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি,আসলে কি ঘটেছিল।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :