নওগাঁর পত্নীতলায় এক যুবককে টাকা নেয়ার পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত যুবকের নাম সুমন হোসেন । মৃত্যুর আগে সুমন তার ফেসবুক আইডিতে লাইভে গিয়ে হামলার কারণ উল্লেখ করে বাঁচার আকুতি জানান।
রোববার (১৭ নভেম্বর) রাতে করা ওই লাইভে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে কেউ বাঁচান আমাকে ওরা মেরে ফেলবে। বুলবুল ভাই আপনাকে আমি বড় ভাইয়ের মতো মনে করতাম। আপনি প্রলোভন দিয়ে ডেকে মেরে ফেললেন। আপনার কাছ থেকে কোনো দিনই আট লাখ টাকা নেইনি। আমি নিয়েছিলাম ৭০ হাজার টাকা। সেই টাকায় হাজারে প্রতিদিন ২০ টাকা করে সুদ এক লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি।
সুমন বলতে থাকেন, আপনি ফাঁকা চেক আর স্ট্যাম্প নিয়ে এতো কিছু করলেন। আমি তাও টাকা দিতে চেয়েছিলাম। মহাদেবপুর থেকে টাকা নিয়ে আসতে ছিলাম। আপনি ছাড়া আর কেউ জানতো না ভাই। আপনি আমার পেছনে লোক লাগিয়ে দিয়ে আমাকে মেরে ফেললেন। আমি নজিপুরের সকল ছাত্র-জনতার কাছে অনুরোধ করছি আমি বুলবুলের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। আমি ওকে সুদ দিছি আগে ৭ লাখ টাকা। আবার আজকে এক জায়গা থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসছিলাম ওকে দিবো বলে।
৫ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের লাইভে সুমন তার মা ও ভাগ্নেকে দেখে রাখার আকুতি জানিয়ে কান্না করতে থাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৭০ হাজার টাকার সুদ ১৭ লাখ টাকা দাবি করে বুলবুল। সুমন রোববার রাতে বুলবুলকে সেই টাকা দেয়ার জন্য মহাদেবপুর থেকে নজিপুর নাদোর বেংডম এলাকায় পৌঁছালে তার গতিরোধ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ছিনিয়ে নেয়া হয় টাকা। পরে দুর্বৃত্তরা সুমনকে বেধড়ক পিটিয়ে ফেলে যায়।
পরে তার লাইভ দেখে এলাকার লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ এনায়েতুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে নেয়া হয়েছে। হত্যার বিষয়ে মামলা হলে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :